,


শিরোনাম:
«» শাহজালালে ৩৫১৮ পিস ইয়াবাসহ এক যাত্রী আটক «» ঢাকা ১৮ আসনে দয়াল কুমার বড়ুয়ার ঈদ উপহার বিতরণ। «» আব্দুল্লাহপুরে ময়মনসিংহের অবৈধ বাস কাউন্টারে যাত্রী হয়রানি ও মারধর অভিযোগ উঠেছে। «» জামালপুরে সাংবাদিক নাদিম হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে উত্তরা প্রেস ক্লাব। «» আব্দুল্লাহপুর টি আই’র লাঠির আঘাতে পরিবহন শ্রমিকের কান্না। «» তুরাগে এক দশক ধরে মাদক ব্যবসা করা কদম গ্রেফতার। «» তুরাগে গৃহবধু হত্যার অভিযোগে স্বামীর বন্ধু গ্রেফতার «» ভাড়া বাসায় অবস্থান করে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতী করতো তারা’ «» ঈশ্বরদীতে ২০০ লিটার মদসহ গ্রেফতার ১ «» ঈশ্বরদীতে নবজাতক হত্যার অভিযোগ সাবেক স্বাস্থ্যকর্মীর আকলিমার বিরুদ্ধে

উখিয়া টেকনাফ থেকে স্বেচ্ছায় আবারও সহস্রাধিক রোহিঙ্গা ভাসানচর যাচ্ছেন কাল

 নিউজ ডেস্কে ক্রাইম নিউজ ঢাকা ডটকম: কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে মানবিক আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের অপর একটি দল আগামীকাল সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) স্বেচ্ছায় ভাসানচরের উদ্দেশ্যে ক্যাম্প ছাড়ছেন। ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের এদিন তিন ধাপে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে। দুপুরে প্রথম চালান ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনার প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। আগের মতো উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ এলাকা থেকে তিন দলে ভাগ করে বাসগুলো চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে যেতে উখিয়া কলেজ মাঠে অস্থায়ী ট্রানজিট পয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে। মাঠে একাধিক কাপড়ের প্যান্ডেল ও বুথ তৈরি করা হয়েছে। মূল ক্যাম্প ছাড়াও ৩৪টি ক্যাম্প থেকেই ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গারা রোববার (২৭ ডিসেম্বর ২০২০)বিকেল থেকে ট্রানজিট পয়েন্টে আসতে শুরু করেছে। বাকিরা সোমবার সকালে এসে পৌঁছাবে প্রথমবারের মতো এবারও রোহিঙ্গাদের ভাসানচর যাত্রা নিয়ে প্রশাসনের কেউ মুখ খুলছেন না। দ্বিতীয় দফায়ও একইভাবে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কিছু বলছেন না তারা। তবে তাদের ব্যাপক আয়োজন চোখে পড়ার মতো। গতবারের মতো এবারও র্যাব-১৫ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছে ওয়াকিবহাল একটি সূত্র। সূত্র মতে, স্বেচ্ছায় যারা যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে তাদেরকেই কেবল স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যার পর থেকে বেশ কিছু রোহিঙ্গা ট্রানজিট পয়েন্টে চলে আসে। তালিকাভুক্ত হওয়া অন্যরা সোমবার ভোর থেকে আসবে বলে অভিমত তাদের। আগে থেকে প্রয়োজনীয় পরিবহন ব্যবস্থা ও খাদ্যসামগ্রী মজুত রয়েছে। উখিয়া ডিগ্রী কলেজের মাঠ থেকে তিন ধাপে ৩০টি বাস ও ২০টি ট্রাকে করে চট্টগ্রাম বোট ক্লাবে নিয়ে যাওয়া হবে তাদের। সেখান থেকে পরদিন (মঙ্গলবার) সকালে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া হবে। ইতোপূর্বে ৪ ডিসেম্বর প্রথম যাত্রায় এক হাজার ৬৪২ রোহিঙ্গা ভাসানচরে গেছেন। আগে মালয়েশিয়া যেতে গিয়ে সমুদ্র উপকূলে আটক আরও তিন শতাধিক রোহিঙ্গাকে সেখানে নিয়ে রাখা হয়েছিল। এদের মাধ্যমে উখিয়া-টেকনাফে অবস্থান করা হয় রোহিঙ্গারা ভাসানচরের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হয়ে স্বেচ্ছায় সেখানে যেতে নিজেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করাচ্ছে বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গা নেতারা। বিভিন্ন ক্যাম্পের মাঝিরা জানান, অনেক রোহিঙ্গা পরিবার স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে উদ্যোগী হচ্ছে। তাদের অনেকে নির্ধারিত সময়ে ট্রানজিট পয়েন্টে চলে গিয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনার বাস ধরছে। আন্তর্জাতিক একটি এনজিও’র কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বার বার অভিযোগ উঠেছে এনজিওদের প্ররোচনায় রোহিঙ্গারা ভাসানচর যাচ্ছে না। তাই রোহিঙ্গাদের ভাসানচর যাত্রায় কোনো এনজিও মাথা ঘামাচ্ছে না। রোহিঙ্গাদের সরকার যেখানে রাখবে আমরা সেখানেই সহযোগিতা দেব। আমরা সরকারের সিদ্ধান্তের বাইরে নয়। এদিকে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে সেখান থেকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নেয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে নৌবাহিনীর জাহাজ। চরে নেয়ার প্রথম দুই মাস তাদের রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হবে। এরপর নিজ নিজ অবস্থানেই রান্না করার ব্যবস্থার উদ্যোগ রয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। রোহিঙ্গাদের ভাসানচর নেয়ার আগে পালস বাংলাদেশ সোসাইটি, কুয়েত সোসাইটি ফর রিলিফ, ফ্রেন্ডশিপ, এসএডব্লিউবি, শারজাহ চ্যারিটি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, গ্লোবাল উন্নয়ন সংস্থা, আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার, সনি ইন্টারন্যাশনাল, আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশন, হেলথ দ্য নিডি চ্যারিটেবল ট্রাস্ট, জনসভা কেন্দ্র, কারিতাস বাংলাদেশ, সমাজ কল্যাণ উন্নয়ন সংস্থা (স্কাস), সোশ্যাল এইড, সিডিডি, মুক্তি- কক্সবাজার, ভলান্টারি অরগানাইজেশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট, আর টি এম ইন্টারন্যাশনাল, মাল্টি সার্ভ ইন্টারন্যাশনাল, আল্লামা ফয়জুল্লাহ ফাউন্ডেশন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও হেলথ অ্যান্ড এডুকেশন ফর অল নামে ২২টি এনজিও’র প্রতিনিধিরা ভাসানচর পরিদর্শন করে সরকারের পরিকল্পিত আয়োজনে সন্তোষ প্রকাশ করেন। ইতোমধ্যে এসব এনজিও সেখানে কাজও শুরু করেছে। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাাইটিসহ আরও অনেক এনজিও। সূত্র জানায়, উখিয়া ও টেকনাফের পাহাড়ে ঠাসাঠাসির বসবাস ছেড়ে ভাসানচরে যেতে তিন হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা রাজি হয়েছে। তবে চার থেকে পাঁচ হাজার রোহিঙ্গা আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত। নোয়াখালীর হাতিয়ায় সাগরের মাঝে ভেসে থাকা ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ঝড় জলোচ্ছ্বাস থেকে সুরক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থাও রয়েছে সেখানে। বসবাসের যে ব্যবস্থা করা হয়েছে তা দেখতে গত সেপ্টেম্বরে দুই নারীসহ ৪০ রোহিঙ্গা নেতাকে সেখানে নিয়ে যায় সরকার। তারা ভাসানচরের আবাসন ব্যবস্থা দেখে মুগ্ধ হয়। তারা ক্যাম্পে ফিরে অন্যদের ভাসানচরে যেতে উদ্বুদ্ধ করে। দু’বছর আগে সরকার ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।
ঘোষনাঃ