মোঃমাজহারুল ইসলাম মলি: পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার কারনে ভাই ভাইয়ের পরিবারে মারামারি। প্রান বাঁচাতে মরিচের গুড়া ব্যবহার । এ নিয়ে আদালতে পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। মামলা ও সরেজমিনে জানা গেছে উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত ওমর হাওলাদারের বাড়িতে ২১ ডিসেম্বর সকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটে।শামসুল হক হাওলাদার এর বসত ঘরের সামনে তার ছোট ভাই জালাল সহ অন্যান্য সদস্যরা লাঠি, ছোরা, দা নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আসলে ভুক্তভোগীরা ভিতু হয়ে প্রান বাঁচাতে দরজা বন্ধ করে নিজ ঘরের মধ্যে আশ্রয় নেয় । তখোনি জালাল হাওলার ও তার সাথে থাকা কয়েক জন রামদা, লোহার রড লাঠি নিয়ে দরজা-কপাট ভেঙে ভিতরে ঢুকে পরলে সামসুলহক হাওলাদার ও তার পরিবারের সদস্যরা জীবন বাঁচাতে মরিচের গুঁড়ো ছুরতে বাধ্য হয় বলে শামসুলহক স্বীকার করেছেন। উক্ত ঘটনার বিষয় বিবাদী জলিল হাওলাদারে কাছে যানতে চাইলে তিনি একটি দা নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন । স্থানীয় ওয়াজেদ আলী মৃধা এর ছেলে ফরিদ হোসেন ঘটনার সময় উপস্থিত হয়ে হামলাকারী জালালের হাত থেকে একটি (রাম দা) উদ্ধার করে বলে সরজমিনে জানা গেছে। আরও জানা গেছে মৃত ফয়জুদ্দিন হাওলাদার এর ছেলেদের মধ্যে জমি জমা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছে।এই বিরোধের কারনে মাঝে মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকে। এলাকাবাসী সমাধানের চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়েছে। এ বিষয়ে আহত রুমা বেগম বলেন ” জালাল হাং দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পরিবারের সাথে কারনে অকারনে বিরোধিতা করে চলছে। তুচ্ছ ঘটনা হলেও দা-বগী নিয়ে বসত ঘরে এসে হুমকি দিতো। কখনো কখনো পরিবারের লোকজনকে একা পেলে আক্রমণ কারার চেষ্টা করে। তার ভয়ে সামাজিক ভাবে চলাফেরা করা কঠিন হয়ে গেছে। এই বিরোধের সুষ্ঠু সমাধান না হলে বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। তাই উক্ত ঘটনার ন্যায় বিচার পেতে ২২ ডিসেম্বর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গলাচিপা এর আদালতে সামসুলহক হাওলাদারের পুত্রবধূ মোসা: রুমা রেগম (৩০) বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।উক্ত মামলা টি বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালত গলাচিপা ডিবি পটুয়াখালী কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেছেন।
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।