,


শিরোনাম:
«» তুরাগে গৃহবধু হত্যার অভিযোগে স্বামীর বন্ধু গ্রেফতার «» ভাড়া বাসায় অবস্থান করে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতী করতো তারা’ «» ঈশ্বরদীতে ২০০ লিটার মদসহ গ্রেফতার ১ «» ঈশ্বরদীতে নবজাতক হত্যার অভিযোগ সাবেক স্বাস্থ্যকর্মীর আকলিমার বিরুদ্ধে «» সাংবাদিকতার দায় একমাত্র জনসাধারণের কাছে:তিতুমীর «» ঈশ্বরদীতে প্রণোদনার সার-বীজ প্রদানে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ প্রকৃত কৃষকদের «» ঈশ্বরদীতে বালু খেকোদের কবলে বিলিন হাজার হেক্টর ফসলি জমি, দিশেহারা কৃষক «» ঠাকুরগাঁওয়ে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পালিত র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত «» চাঁপাইনবাবগঞ্জ সাবেক এমপি ও জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসভবনে হামলা «» চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষকলীগের অনুষ্ঠানে সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা মিনহাজ আহত

শেয়ানে শেয়ানে লড়াই এইচএসসিতে মেয়ে ৪ পয়েন্ট, মায়েরও ৪ পয়েন্ট

রাজশাহী থেকে এম এ সৈয়দ তন্ময়  :
পড়া লেখার যে কোন বয়স নেই তা প্রমান করেছেন রাজশাহী বোর্ডের জয়পুরহাটে একসঙ্গে এইচএসসি পাস করেছেন মা ও মেয়ে; যারা অষ্টম শ্রেণি থেকে একসঙ্গে লেখাপড়া করছেন।
রোববার প্রকাশিত ফলে জয়পুরহাট সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৪ মেয়ে তানজিলা আফরিন ও পাঁচবিবি জেলার একটি কারিগরি কলেজ থেকে মা ইসমত আরা জিপিএ ৪ পেয়ে পাশ করেছেন।
জয়পুরহাট শহরের আদর্শপাড়া মহল্লার বাসিন্দা স্বেচ্ছা অবসরে যাওয়া জেলা জজ আদালতের সাবেক পেশকার জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী ইসমত আরা ও তাদের মেয়ে তানজিলা আফরিন। মা-মেয়ের আরও ভালো ফলাফলের আশা করলেও হতাশ হননি জাহাঙ্গীর আলম। স্ত্রী ও মেয়েকে এগিয়ে নিতে চেষ্টা অব্যাহত রাখবেন বলে জানান তিনি। ইসমত আরা বলেন, মেয়ে শুরু থেকেই মেধাবী। সব পরীক্ষায় ভালো ফলাফল নিয়ে জয়পুরহাট সরকারি কলেজে আর তিনি পাঁচবিবি উপজেলার আয়মা-জামালপুর টেকনিক্যাল কলেজে থেকে ভর্তি হন।
লোকলজ্জার ভয়ে গোপনে বোরখা পরে ক্লাসে গিয়েছি। তারপরও জানাজানি হলে ২/৪ জন টিপ্পনীও কেটেছেন। তারপরও পিছপা হইনি। লেখাপড়া শিখে একজন আইনজীবী হয়ে শুধু নির্যাতিত নারীদের পক্ষে আইনি লড়াই করে তাদের ন্যায় বিচার পাইয়ে দেওয়ার স্বপ্ন দেখেন ইসমত আরা।
ফলাফলে মা সন্তুষ্ট হলেও আরও ভালো ফলাফলের আশা করেছিলেন তানজিলা। তবে আগামীতে আরও ভালো ফলাফলের আশা করছেন তিনি। অষ্টম শ্রেণি থেকে মা-মেয়ে একই ক্লাসে পড়তেন মা-মেয়ে। এভাবে এসএসসি পর্যন্ত মা গোপনে আর মেয়ে স্বাভাবিক নিয়মে লেখাপড়া চালিয়ে যান বলে জানান জাহাঙ্গীর আলম।
আয়মা-জামালপুর টেকনিক্যাল কলেজের প্রভাষক কনক সরকার বলেন, “ছাত্রী ইসমত আরা আমিসহ প্রায় সকল শিক্ষকের চেয়ে বয়সে বড় হলেও তিনি সবাইকে সম্মান করেন এবং স্যার বলেই ডাকেন।

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।
ঘোষনাঃ