,


শিরোনাম:
«» ঢাকা ১৮ আসনে দয়াল কুমার বড়ুয়ার ঈদ উপহার বিতরণ। «» আব্দুল্লাহপুরে ময়মনসিংহের অবৈধ বাস কাউন্টারে যাত্রী হয়রানি ও মারধর অভিযোগ উঠেছে। «» জামালপুরে সাংবাদিক নাদিম হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে উত্তরা প্রেস ক্লাব। «» আব্দুল্লাহপুর টি আই’র লাঠির আঘাতে পরিবহন শ্রমিকের কান্না। «» তুরাগে এক দশক ধরে মাদক ব্যবসা করা কদম গ্রেফতার। «» তুরাগে গৃহবধু হত্যার অভিযোগে স্বামীর বন্ধু গ্রেফতার «» ভাড়া বাসায় অবস্থান করে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতী করতো তারা’ «» ঈশ্বরদীতে ২০০ লিটার মদসহ গ্রেফতার ১ «» ঈশ্বরদীতে নবজাতক হত্যার অভিযোগ সাবেক স্বাস্থ্যকর্মীর আকলিমার বিরুদ্ধে «» সাংবাদিকতার দায় একমাত্র জনসাধারণের কাছে:তিতুমীর

আব্দুল্লাহপুরে ময়মনসিংহের অবৈধ বাস কাউন্টারে যাত্রী হয়রানি ও মারধর অভিযোগ উঠেছে।

স্টাফ রিপোর্টারঃ রাজধানীর উত্তরার আব্দুল্লাহপুরে সড়ক ও ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছে অসংখ্য অবৈধ বাস কাউন্টার। এসকল কাউন্টার চাঁদাবাজী মারামারি সাধারণ যাত্রীদের হয়রানি করাসহ সামান্য বিষয়ে কথা কাটাকাটি হলেই স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে যাত্রীদের মারধর। ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যদের সহযোগিতা ও পকেটমার চক্রেকে যাত্রীর তথ্য দেয়া ছাড়াও বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকির অভিযোগও অসংখ্য। আর এসকল প্রতিটি কাউন্টারে যাত্রী ডাকার জন্য দায়িত্ব পালন করে ৪ থেকে ৫ জন যুবক ছেলে এরা খুবই উগ্র মেজাজি।

একদিকে বিআরটি প্রকল্পের আব্দুল্লাহপুরে উড়াল সড়ক ও নিচের সড়ক নির্মাণের কাজ সি এনজি পাম্প গুলোতে গাড়ির লাম্বা সিরিয়াল রাস্তার মধ্যে স্লাব ও আইল্যান্ডের ভাঙা অংশগুলো বলে দিচ্ছে কতটা ঝুঁকি নিয়ে মানুষ চলাচল করছে। বিআরটি’র কাজের জন্য রাস্তার মাঝে পিলার স্থাপনের কারণে রাস্তা হয়ে পড়েছে সরু, যার কারণে প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকে।

গত মঙ্গলবার দুপুরে ট্রাফিক পুলিশের এক সার্জেন্ট নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এই প্রকল্পের কাজের জন্য সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশকেও বেগ পেতে হয়।’ তিনি বলেন, হাউজবিল্ডিং থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত পুরো সড়কে যানজট লেগেই থাকে। বিশেষ করে আব্দুল্লাহপুর হাউস বিল্ডিং টঙ্গী কামারপাড়া সড়ক পর্যন্ত বিআরটি প্রকল্পের কাজের জন্য রাস্তাগুলোর ভয়ঙ্কর অবস্থা। রাস্তার উভয় পাশে কাজের পাশাপাশি ফুটপাত থাকায় প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনার শিকার হন পথচারীরা।’ ওই ট্রাফিক পুলিশের ভাষ্য, এ প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত দুর্ভোগ চলবেই। অন্যদিকে এ অবৈধ কাউন্টারের জন্যে বাস গুলো সড়কের উপর দাঁড়িয়ে থাকে দীর্ঘ সময় ধরে।
এতে করে পুরো আব্দুল্লাহপুরসহ আশপাশের পুরো এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে কাউন্টার গুলোর বিরুদ্ধে যাত্রী থেকে ভাড়ার টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়া যাত্রীকে মারধর করার অভিযোগ রয়েছে হরহামেশায়, কাউন্টারে কাজ করা কমিশন মাস্টার গুলোর বিরুদ্ধে, গত ০৮/০৬/২০২৩ ময়মনসিংহ যাওয়ার উদ্দেশ্যে আসা মোঃ রানা (২৩) ও মোঃ সাজ্জাদ (২১) অভিযোগ বলেন আব্দুল্লাহপুর ট্রাফিক পুলিশ বক্সের পিছনে জাহাঙ্গীরের হোটেলের সামনে আমরা দাড়ালে কাউন্টারের কয়েকজন ছেলে এসে জানতে চায় কোথায় জাবেন উত্তরে সাজ্জাদ জানান ময়মনসিংহ ভাড়া কত উত্তরে কাউন্টার মাস্টার জানান ২৫০ টাকা’সাজ্জাদ বলে উঠেন ভাই আমাদের টিকেট লাগবে না আমরা বাস আসলে কথা বলে চলে যাবো এমন সময় কাউন্টার মাস্টার সুজন বলে উঠে আমরা আছি দেখি তুই কিভাবে যাছ। কথার একপর্যায়ে সাজ্জাদ ও রানাকে বেধড়ক মারধর করে চলে জান কাউন্টারের লোকজন।
পরে আমরা রাস্তার মানুষের সহযোগিতায় গাড়িতে উঠি।

এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কাউন্টার মাস্টার জানান ভাই আমরা টাকা দিয়ে ব্যবসা করি ফ্রীতে নয়, প্রতিদিন কাউন্টার প্রতি ৮০০শ থেকে ৯০০শ টাকা খরচ যেমন সাপ্তাহিক আব্দুল্লাহপুর টি আই স্যারকে কাউন্টার প্রতি ২০০০ টাকা দিতে হয়। এছাড়াও দৈনিক থানার মোবাইল গাড়ি,কিলো গাড়ি,আব্দুল্লাহপুর পুলিশ বক্সের টাকা নামধারী সাংবাদিকতো আছেই অন্যদিকে যারা কাউন্টার বসিয়েছে তাদের ভাড়া বাবত প্রতিদিন ৩০০শ থেকে ৪০০শ টাকা ভাড়া দিতে হয় কাউন্টার প্রতি। রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের টাকাতো না বললেই নয় আর এই সিন্ডিকেটের সার্বিক দেখশোন করেন(১) মোঃ সোহাগ (২) মোঃ সুমন (৩) মোঃ রিয়াদ ও এক নং ওয়ার্ডের ইউনিট সভাপতি ফারুক গং।
এসকল বিষয়ে ইউনিট সভাপতি ফারুক বলেন এরা গরিব মানুষ সড়কের উপর বিভিন্ন পরিবহনের টিকেট কমিশনে বিক্রি করে পরিবার চালায় তবে কাউন্টার গুলো অনুমোদনহীন। যাত্রীদের মারধরের বিষয়ে কোন সৎ উত্তর দেয়নি তিনি।

যাত্রীদের মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে বাস মালিক সমিতির আব্দুল্লাহপুরের সাধারণ সম্পাদক হাজী নুরুল ইসলাম নুরু বলেন এসকল কাউন্টার কিছু কমবয়সী ছেলেপেলে রয়েছে যাত্রীদের মারধরের বিষয়টি আমার জানা ছিলো না আমি খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
টি আই মেহেদীকে মুঠোফোনে একাধিক বার কল করেও পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে উত্তরা ট্রাফিক জোনের উপ পুলিশ কমিশনার নাবিদ কামাল শৈবাল, বলেন। এসকল অবৈধ স্থাপনা থেকে পুলিশ সাংবাদিক স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ পরিবহন মালিক সমিতির লোকজন চাঁদা নিয়ে থাকে এছাড়াও যাত্রী হয়রানি মারধর বিষয়ে তিনি বলেন এটা ক্রাইম পুলিশের কাছে ভুক্তভোগী যাত্রী অভিযোগ করলেই পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে চাইনা এসকল অবৈধ স্থাপনা ফুটপাত বা সড়কের উপর থাকে এতে করে গাড়ি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিসহ সাধারণ মানুষের চরম হয়রানি হয় আমি খোজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।
ঘোষনাঃ