,


শিরোনাম:
«» ঢাকা ১৮ আসনে দয়াল কুমার বড়ুয়ার ঈদ উপহার বিতরণ। «» আব্দুল্লাহপুরে ময়মনসিংহের অবৈধ বাস কাউন্টারে যাত্রী হয়রানি ও মারধর অভিযোগ উঠেছে। «» জামালপুরে সাংবাদিক নাদিম হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে উত্তরা প্রেস ক্লাব। «» আব্দুল্লাহপুর টি আই’র লাঠির আঘাতে পরিবহন শ্রমিকের কান্না। «» তুরাগে এক দশক ধরে মাদক ব্যবসা করা কদম গ্রেফতার। «» তুরাগে গৃহবধু হত্যার অভিযোগে স্বামীর বন্ধু গ্রেফতার «» ভাড়া বাসায় অবস্থান করে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতী করতো তারা’ «» ঈশ্বরদীতে ২০০ লিটার মদসহ গ্রেফতার ১ «» ঈশ্বরদীতে নবজাতক হত্যার অভিযোগ সাবেক স্বাস্থ্যকর্মীর আকলিমার বিরুদ্ধে «» সাংবাদিকতার দায় একমাত্র জনসাধারণের কাছে:তিতুমীর

অনলাইন লোন প্রধানকারী ভারত থেকে পলাতক চাইনিজ লিউসির প্রতারণামূলক এপসের সেফজোন এখন বাংলাদেশ

নগর প্রতিনিধিঃ ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় অর্ধশত মামলা খেয়ে অবৈধ ভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে চাইনিজ লিউসি প্রতারণামূলক এপসের সেফজোন হিসেবে বেছে নিয়েছে এখন বাংলাদেশকে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে ভারত থেকে পালিয়ে আসা এই লিউসি।

প্রতারণার নতুন ফাঁদ লোন প্রদানকারী কয়েকটি অ্যাপ। দেশি-বিদেশি নাগরিকদের প্রতারণা করা এসকল অ্যাপের সেফ জোন এখন বাংলাদেশ। লোমহর্ষক এই প্রতারণায় পা দিতে বাংলাদেশী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তরুণ-তরুণী শিক্ষার্থীদের একপ্রকার বাধ্য করা হচ্ছে। ঋণের প্রলোভন দেখিয়ে ইতিমধ্যে কয়েকশত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। চক্রের বিরুদ্ধে ভারতে রয়েছে ৩০ এর অধিক মামলা। সেখান থেকে পাড়ি জমিয়েছে বাংলাদেশে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে এসকল চক্র।

এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির আমলে নানাভাবে সাধারণ মানুষকে ঠকানো হচ্ছে। না জেনে না বুঝে কিছু জাল এপ্লিকেশনের ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন ভারতীয় ও আসপাশের কিছু দেশের নাগরিকরা। স্মার্ট ফোন অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যমে সহজে ঋণ পাওয়া যায়। এই ব্যবস্থাকে হাতিয়ার করে ফাঁদ পাতছে প্রতারকরা। এই প্রতারণায় মধ্যবিত্ত ও অভাবগ্রস্ত বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণ-তরুণীদের জড়িয়ে নিচ্ছেন চিনা প্রতারক লিউসি।

সম্প্রতি চিনা অনলাইন প্রতারণা চক্রের লিউসির একটি অফিসের হদিস মিলেছে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায়। উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টর ১৩ নম্বর সড়কের ৬৫ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায় কোন কোম্পানির নাম ছাড়াই অফিসটি ভাড়া নেওয়া হয়। এই অফিস পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন পটুয়াখালী থেকে আসা সুমন। তিনি এই চক্রের সক্রিয় সদস্য ও ওই অফিসে থাকা শতাধিক কর্মচারীর দেখ সুন করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতারক চক্র থেকে বেরিয়ে আসা একজন স্টুডেন্ট। জানান অভাবের কারণেই চাকরি টি তিন মাস করি পরে যখন ওদের প্রতারণা জালিয়াতি বুঝতে পারলাম তখন চাকরি ছেড়ে দিয়েছি, এছাড়াও এই চক্রটি সাথে বাড়ির ম্যানেজার মুশফিক জড়িত বলে ধারণা করা হয়।


প্রতারক চক্র ছেড়ে আসা আরেকজন নারী জানান, এই কোম্পানি কোনরকম নথি ছাড়াই লোন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের থেকে কয়েক কোটি টাকা লুটে নিয়েছে। প্রথমে লোন দেওয়ার নামে প্রতিশ্রুতি দেয়। পরে হুমকি মেসেজ পাঠিয়ে টাকা নেয়। এই প্রতারণা চক্র ফেসবুক এবং instagram এর মতো প্লাটফর্মে বিজ্ঞাপন দেয়। সেখানে অ্যাপ ডাউনলোড করার পর ফোনের কন্টাক্ট এবং ছবি ভিডিও পারমিশন চাওয়া হয়। তার পারমিশন পাওয়ার পর লোনের জন্য আবেদন করার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকাউন্টে ১০,০০০ টাকা লোন বুঝে বিভিন্নরকম অর্থ ঢুকেও যায় একাউন্টে। তবে সেটা ৬ দিনের মধ্যেই এই টাকার ডাবল ফিরত দিতে হয়। প্রতি ৬দি পর পর এই টাকার পরিমান ডাবল হবে।

এছাড়াও লোন ফেরত ও প্রতারণার প্রসেসিং সম্পর্কে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী একনারী জানান, অর্থ সহায়তা করে এইভাবে গ্রাহকের বিশ্বাস অর্জন করে কয়েক দিনের মধ্যেই ৬০০০ টাকার জন্য সুদ সহ এক লক্ষ টাকা ফেরত চাওয়া হতে থাকে। গ্রাহক সেই টাকা দিতে অস্বীকার করলে কোম্পানির তরফ থেকে অনবরত হুমকি ফোন এবং মেসেজ আসতে থাকে এমনকি কন্টাক্ট লিস্টের বিভিন্ন ব্যক্তির কাছেও অপমানজনক মেসেজ পাঠানো হয়। হুমকি দেওয়া হয় অফিসের স্যার ও পরিবারের সদস্যদের কাছে ফোনের স্টোরেজ থেকে নেওয়া আপত্তিকর ছবি বা এডিট করে পর্ণগ্রাফি বানিয়ে সেই ছবি পরিবারকে পাঠানো। এভাবেই শতকোটি টাকা চক্রটি হাতিয়ে নিচ্ছে।

চিনা ও দেশি এই চক্রটির এপস ১ লোন পা পা, ২লোন টমেটো, ৩ক্যাশ বাস, ৪লুপিলন্ডি, ৫সেলুন ৬বাজ ও ৭যে কে নামক কয়েকটি এপের সাহায্যে এই প্রতারণা কার্যক্রম পরিচালনা করে বলে জানা যায়।

এবিষয়ে গতকাল রবিবার দুই সক্রিয় সদস্য বাড়ির ম্যানেজার ও কোম্পানির ম্যানেজারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদের জন্য উত্তরা পশ্চিম থানায় নেওয়া হয়। পর্ব (১)

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।
ঘোষনাঃ