উত্তরা প্রতিনিধিঃ রাজধানীর উত্তরার আব্দুল্লাহপুর ফ্লাই ওভার ব্রিজের নিচে মোঃ রুহুল আমিন নামক এক ব্যক্তি গত ৩০/০৬ ২০২২ তারিখ সড়কের উপর একটি সাদা কালো রঙের অস্ট্রেলিয়ার গরু সিকল দিয়ে তালাবদ্ধ করে নাস্তা করার জন্য গেলে ডিউটিরত পুলিশের এস আই আলীম গরুর গলার সিকল কেটে গরুটি থানায় নিয়ে আসে পরে গুরুটির মালিক মোঃ রুহুল আমিন(৪৫) বিশ্ব ইজতেমার মাঠের (২১১) নাম্বার হালকার তাবলীগ জামাতের সাথী গরুটি কিনে টঙ্গী বাজার নিজ বাসার দিকে নেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হলে আব্দুল্লাহপুর হয়ে টঙ্গী যাওয়ার পথে আব্দুল্লাহপুর নাস্তা খাওয়ার জন্য গরুটি তালাবদ্ধ করে গেলে ঘটনাটি ঘটে।
গরুটি থানায় কেন জানতে চাইলে গরুটির মালিক রুহুল আমিন জানান গরুটি তালাবদ্ধ করে একটা হোটেলে নাস্তা খেয়ে এসে দেখি গরু নেই পরে আশপাশের দোকানদার লোকজন তথ্য দিয়েছে গরুটি রাস্তায় রাখার কারণে উত্তরা পশ্চিম থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ
তবে এগুলো সাধারণ মানুষকে হয়রানি ছাড়া কিছুই নয়, আমি সাধারন মানুষ আমাকে তো আগে হয়রানি করেছে পরে দ্বিতীয়ত,৫ হাজার ২০০শ টাকা মুক্তিপণ নিয়েছে।
এ বিষয়ে এসআই আলিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন গরুটি আব্দুল্লাহপুর ব্রিজের নিচে তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে গরুটির মালিককে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে গরুটি থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে গরুটির মালিক পাওয়া যায়। তিনি আরো বলেন পুলিশের পলওয়েল কমিউনিটি সেন্টারের গরু দাবি করে
পলওয়েল কমিউনিটি সেন্টারের লোকজন এসে মালিকানা প্রমাণ করে ওসি স্যারের সাথে কথা বলে গরুটি থানা থেকে নিয়ে যায়। অনুসন্ধান করে দেখা গেছে গরুটির মালিক পলওয়েল কমিউনিটি সেন্টারের কোন লোকজন নয়। গরুটির মালিক একজন তাবলীগ জামাতের সাথী রুহুল আমিন (৪৫) তবে ৫ হাজার ২০০শ টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি সত্য নয় বলে জানান এস আই আলীম। পরে উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ আক্তারুজ্জামান ইলিয়াসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন দূর মেয়া কি পান,না পান, আব্দুল্লাহপুর থেকে একটি গরু আনা হয়েছে হবে গরুর মালিক এসে গরুটি নিয়ে গেছে, পুলিশ টাকা নেয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে বলে উঠেন দূর মেয়া ফালতু কথা বার্তা কই পান এগুলো বলে ফোন রেখেদেন।
আব্দুল্লাহপুরের তালাবদ্ধ গরুর সিকল কেটে থানায় এনে চাঁদা আদায় ক্ষুব্দ গরুর মালিক

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।