তুরাগ প্রতিনিধিঃ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ(রাজউক) ৬ মার্চ রবিবার সকাল ১০টায় দখলদারদের উচ্ছেদ করার জন্য অভিযান পরিচালনা করার কথা থাকলেও সেই অভিযানটি শুরু হয় বিকেল প্রায় সাড়ে ৪ টায়। উচ্ছেদ অভিযানে গড়ি মসি ও অসম্পূর্ণ কার্যক্রম হয়েছে বলে জানা যায়।
রাজধানীর উত্তরায় ১২ নম্বর সেক্টর খালপাড় হতে শুরু করে ডিয়াবাড়ি গোলচত্বর পর্যন্ত রাজউকের জমিতে অবৈধভাবে বাণিজ্যিক ব্যবহার ও নকশা বহির্ভূত স্থাপনা অপসারণে অভিযান চালিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। সকাল ১০টা থেকে অভিযান পরিচালনা করার কথা থাকলেও অভিযানটি শুরু করে প্রায় সাড়ে ৪ টায়। অভিযানটি সাড়ে ৪ টায় শুরু করে রাত ৮;টায় শেষ করা হয়। অর্থাৎ মাত্র সাড়ে তিন ঘন্টা। যেখানে স্বয়ং রাজউকের পিডি হাফিজ সাহেব বলেছেন অভিযান স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে এবং সকল দখলদারদের উচ্ছেদ করতে যেকোনো ভাবে সম্পূর্ণ চারটি দিন উচ্ছেদ অভিযান চালাতে হবে। সেখানে সেই উচ্ছেদ অভিযানটিতেই মাত্র সাড়ে ৩ ঘন্টা উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানো হয়।
রবিবার (৭ মার্চ ) রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তার ও পিডি হাফিজ এর নেতৃত্বে গঠিত ফোর্স এ অভিযান চালায়। অভিযান পরিচালনা করতে প্রয়োজনীয় যেসকল সরঞ্জাম ও গাড়ির প্রয়োজন এর সবকিছু সময়মতো উপস্থিত থাকলেও অভিযানে গড়ি মসি করা হয়। অভিযানে গড়ি মসি করার করণ জানতে চাইলে জানান, “ম্যাজিস্ট্রেট ম্যামের জন্য অপেক্ষা করছি।”
এদিকে ৬ ঘন্টা দেরিতে অভিযান শুরু হলে অভিযানে ১২ নম্বর খালপাড় থেকে ডিয়াবাড়ি গোলচত্বর পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশে রাজউকের জমি দখল করে থাকা সকল ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান ও গড়ে উঠা ঘর বাড়ি ভেঙে ফেলা হলেও কিছু রাজনৈতিক ক্লাব বা অফিস এবং দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়নি। অন্যদিকে কিছু মানুষের দোকানের ভিতরের মালামাল সামগ্রী ও ঘরের ভিতরের আসবাবপত্রসহ গুড়িয়ে দেওয়া হয় স্থাপনা। এসব নিয়ে তৈরী হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এবিষয়ে জানা যায় যে সকল স্থাপনা ভেঙে ফেলেনি সেগুলিকে অপসারণের সময় দেওয়া হয়েছে ৭দিন। থাকার একমাত্র স্থান ছোট্ট টিনের ঘর হারানো এবং জীবিকা নির্বাহের একমাত্র সম্বল চায়ের টং হারানো ভুক্তভোগী অনেকেই এনিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা প্রশ্ন ছুড়ছেন, কেউ সুযোগ পাবে কেউ পাবে না সেটা কি করে সম্ভব?
অপরদিকে রাজউক জানায় এই এরিয়ায় রাজউকের জমি দখল করে গড়ে উঠা ভাঙারি দোকান,টায়ারের দোকান,চায়ের টং ও হোটেলসহ সকল প্রকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে দেওয়া হয় এই উচ্ছেদ অভিযানে। উচ্ছেদ অভিযানের মধ্য দিয়ে দখলদারদের যেকোনো সময় উচ্ছেদ করা হবে। এই অভিযান সকল দখলদারদের বিতাড়িত করা অবধি চলমান থাকবে।
উচ্ছেদ কার্যক্রমে রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তার, রাজউকের পিডি মোঃহাফিজ, সহকারী অথরাইজড অফিসার, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সেবাদানকারী সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।