প্রতিনিধি সৌরভ কুমার দেবনাথঃ ঈশ্বরদীতে শ্যালোর ইঞ্জিন চালিত নসিমন ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজির ২ যাত্রী নিহত ও অপর ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
রবিবার ৯ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮ টার দিকে পাবনা-ঈশ্বরদীমহাসড়কের ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া ইউনিয়নের দিকশাইল মোড়ে এই দূর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন নাটোর বড়াইগ্রামের শিবপুরগ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে বাবলু (২৫) । নিহত অপরজনের চেহারা বিভৎস্য হওয়ায় পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। আর গুরুতর আহতরা হলেন, নাটোর বড়াইগ্রামের গড়মাটি এলাকার মনসের মিস্ত্রির ছেলে শাহিন (২৭), একই এলাকার আমিন প্রামানিকের ছেলে মহররম প্রাং (৫০), পাবনা ঈশ্বরদী পৌরসভার আমবাগান এলাকার জোসনা খাতুনের মা ডলি বেগম (৬০) ও একই এলাকার মৃত হামিদের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৬০)।
প্রত্যক্ষদর্শী পল্লী চিকিৎসক তফিজ উদ্দিনসহ স্থানীয়রা জানান, ঘটনার সময় পাবনা দিক থেকে যাত্রী নিয়ে সিএনজিটি দাশুড়িয়ার দিকে আসতে ছিলো। আর দাশুড়িয়ার দিক থেকে শ্যালোর ইঞ্জিন চালিত বড় নসিমন গাড়ি দ্রুতগতিতে পাবনার দিকে যাচ্ছিল। এই সময় ঘটনাস্থল দাশুড়িয়ার দিকশাইল মোড়ে সিএনজি ও নসিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয়। আর আহতদের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদস্যরা উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক মশিউর রহমান জানান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা আহত শাহিন, মহররম, ডলি ও আনোয়ারা বেগমকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু শাহিন ও ডলি বেগমের অবস্থা মারাক্তক হওয়ায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মহরমকে পাবনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল প্রেরণ করা হয়েছে। আর আনোয়ারাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রাখা হয়েছে।
পাকশী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রেজাউল বাসার জানান, পাবনা থেকে সিএনজিটি যাত্রী নিয়ে দাশুড়িয়ার দিকে আসতে ছিলো। আর নসিমনটি দাশুড়িয়ার দিক থেকে পাবনার দিকে যাওয়ার সময় ঘটনাস্থলে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাত নিহত দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দূর্ঘটনাকবলিত সিএনজি ও নসিমনকে জব্দ করে থানা আনা হয়েছে।
ওসি আরো জানান, অজ্ঞাত নিহতের দুইজনের মধ্যে একজনকে নাটোর বড়াইগ্রামের শিবপুর গ্রামের মোতালেবের ছেলে বাবলু বলে শনাক্ত করা গেছে। নিহত অপরজনের হাতের আঙ্গুলের ছাপের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।