,


শিরোনাম:
«» শাহজালালে ৩৫১৮ পিস ইয়াবাসহ এক যাত্রী আটক «» ঢাকা ১৮ আসনে দয়াল কুমার বড়ুয়ার ঈদ উপহার বিতরণ। «» আব্দুল্লাহপুরে ময়মনসিংহের অবৈধ বাস কাউন্টারে যাত্রী হয়রানি ও মারধর অভিযোগ উঠেছে। «» জামালপুরে সাংবাদিক নাদিম হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে উত্তরা প্রেস ক্লাব। «» আব্দুল্লাহপুর টি আই’র লাঠির আঘাতে পরিবহন শ্রমিকের কান্না। «» তুরাগে এক দশক ধরে মাদক ব্যবসা করা কদম গ্রেফতার। «» তুরাগে গৃহবধু হত্যার অভিযোগে স্বামীর বন্ধু গ্রেফতার «» ভাড়া বাসায় অবস্থান করে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতী করতো তারা’ «» ঈশ্বরদীতে ২০০ লিটার মদসহ গ্রেফতার ১ «» ঈশ্বরদীতে নবজাতক হত্যার অভিযোগ সাবেক স্বাস্থ্যকর্মীর আকলিমার বিরুদ্ধে

লক্ষ্মীপুরে যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের দত্তপাড়ায় আলোচিত যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন হত্যা মামলায় ৭ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৩ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- দত্তপাড়া ইউনিয়নের সাবেক সদস্য আজিজ মেম্বার ও তার ছেলে সবুজ, বিল্লাল হোসেন বিপ্লব, ইব্রাহিম, মানিক, ইসমাইল হোসেন এবং আবুল কাশেম মেম্বার। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্ত ইসমাইল হোসেন ও আবুল কাশেম মেম্বার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক রয়েছেন। এছাড়া এ মামলায় আরও ১১ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

জেলা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মো. জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্রত্যেকের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৩০২/১০৯ ধারায় অপরাধী সাবস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আনোয়ার হোসেন দত্তপাড়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত আবদুল বাতেনের ছেলে এবং প্রয়াত ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন শামীমের ছোট ভাই। তিনি ওই ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ছিলেন। তার ভাই ইউপি চেয়ারম্যান শামীমও সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ৪ জুন বিকেলে আনোয়ার হোসেন দত্তপাড়ার প্রয়াত ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন শামীমের নির্বাচনী অফিসে বসে ছিলেন। এ সময় ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা নির্বাচনী অফিসে হামলা করে আনোয়ারের বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করে। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরদিন তার বড়ভাই মো. আশেক ই এলাহী ওরফে বাবুল বাদী হয়ে দত্তপাড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মো. আবদুল আজিজ মেম্বারকে প্রধান আসামি করে ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০/১২ জনের নামে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি নোয়াখালীর সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক সুভাষ চন্দ্র দাস তদন্ত করে অভিযুক্ত ১৮ জনের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১০ জানুয়ারি আদালতে চূড়ান্ত চার্জশিট দাখিল করেন। এর আগে হত্যা মামলাটি সদর থানা পুলিশ তদন্ত করে। চার দফা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়। সর্বশেষ নোয়াখালীর সিআইডিকে মামলাটি তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়।

দীর্ঘ শুনানি শেষে ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের পর (৩ জানুয়ারি) আদালত সাত জনের যাবজ্জীবন রায় ও ১১ জন আসামিকে খালাস দেন।

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।
ঘোষনাঃ