উত্তরা প্রতিনিধিঃ রাজধানী উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত উত্তরা পাবলিক লাইব্রেরিতে পহেলা জানুয়ারি ২০২২ একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য কবি আল মুজাহিদীর ৮০ তম জন্মদিন উদযাপিত হয়। বাংলাদেশের একজন কবি ও সাহিত্যিক। তিনি ষাট দশকের কবি হিসাবে চিহ্নিত। তিন দশকেরও অধিক সময় ধরে তিনি দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। তিনি ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। কবিতা ছাড়াও তিনি গল্প, উপন্যাস, সমালোচনা ইত্যাদি সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় অবদান রেখেছেন। শিশু সাহিত্যেও তার অবদান উল্লেখযোগ্য।
তিনি তার জীবনে অধিক পুরষ্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হন।তিনি তার জীবনে যে সকল পুরষ্কার পান সেগুলি হলো, জীবনানন্দ দাশ একাডেমী পুরস্কার,কবি জসীমউদ্দীন একাডেমী পুরস্কার,মাইকেল মধুসূদন একাডেমী পুরস্কার,শেরে বাংলা সংসদ পুরস্কার,জয়বাংলা সাহিত্য পুরস্কার,বাসাসপ কাব্যরত্ন পদক (২০১৮) এবং বাংলাদেশের জাতীয় এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক প্রাপ্ত হন ২০০৩ সালে।
উক্ত জন্ম দিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। পবিত্র কোরঅান কারিম হতে তেলওয়াতের মধ্য দিয়েই অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।অতঃপর আমন্ত্রিত শতাধিক কবির কবিতা আবৃতি করার মধ্য দিয়েই চলতে থাকে এই বরেণ্য কবির জন্মদিন উদযাপন। উদযাপনে আগত কবি,সাহিত্যিক, উত্তরা নিউজ ও উত্তরা পাবলিক লাইব্রেরির সকল সদস্যরা অনুষ্ঠানটি উদযাপন করেন অত্যান্ত আনন্দের সাথে।
অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইসলামিক ইন্সটিটিউট অফ থট এর নির্বাহী পরিচালক ড. মোঃ আব্দুল আজিজ। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “কবি আল মুজাহিদী হলেন আমাদের নক্ষত্র, কবি আল মুজাহিদী আমাদের দেশের জন্য জাতির জন্য প্রায় ১০ বছর কারা বরণ করেছেন আল্লাহ তাকে আমাদের মাঝে আরও শতাধিক বছর রাখুক”।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য অবসর প্রাপ্ত অধ্যাপক ড. আবদুল লতিফ মাসুম।তিনি তার বক্তব্য দেওয়ার সময় বলেন, “আমাদের এই কিংবদন্তী কবিকে আমাদের আগামি প্রজন্মের জন্য টিকিয়ে রাখতে হবে,তাকে বেঁচে থাকতে হবে আর কটি বছর”।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ছিলেন মামস এম এ অাউয়াল মডেল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল আউয়াল এবং অধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ, ড.আব্দুর রাজ্জাক খাঁন প্রমুখ।