,


শিরোনাম:
«» তুরাগে গৃহবধু হত্যার অভিযোগে স্বামীর বন্ধু গ্রেফতার «» ভাড়া বাসায় অবস্থান করে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতী করতো তারা’ «» ঈশ্বরদীতে ২০০ লিটার মদসহ গ্রেফতার ১ «» ঈশ্বরদীতে নবজাতক হত্যার অভিযোগ সাবেক স্বাস্থ্যকর্মীর আকলিমার বিরুদ্ধে «» সাংবাদিকতার দায় একমাত্র জনসাধারণের কাছে:তিতুমীর «» ঈশ্বরদীতে প্রণোদনার সার-বীজ প্রদানে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ প্রকৃত কৃষকদের «» ঈশ্বরদীতে বালু খেকোদের কবলে বিলিন হাজার হেক্টর ফসলি জমি, দিশেহারা কৃষক «» ঠাকুরগাঁওয়ে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পালিত র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত «» চাঁপাইনবাবগঞ্জ সাবেক এমপি ও জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসভবনে হামলা «» চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষকলীগের অনুষ্ঠানে সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা মিনহাজ আহত

লক্ষ্মীপুরে মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ  লক্ষ্মীপুরে পূর্বশত্রুতার জের ধরে মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে শফিকুল ইসলাম নামের রায়পুর বাজারের এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। শফিকুল ইসলাম রায়পুর বাজারে দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা ফুলের ব্যবসা করে আসছেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন জেলা সদরের দালাল বাজার ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামে গিয়ে জানা গেছে, মৃত হাজী সালামত উল্লাহর ছেলে নাসির হাওলাদারের সাথে একই এলাকার বাহার হোসেনের ছেলে মুরাদ হোসেনের ব্যাডমিন্টন খেলায় বৈদ্যুতিক তার ব্যবহার করাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডা হয়। বৈদ্যুতিক তার চুরির অপবাদ দিয়ে মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুন চৌধুরীর কাছে নালিশ দেয় মুরাদ। হারুন চৌধুরী মুরাদকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলে মুরাদ নাসিরের শরণাপন্ন হয়। বাড়ীর দহলিজের মাঠে খেলা থেকে ডেকে নিয়ে মুরাদকে চড় থাপ্পড় মারে নাসির। একপর্যায়ে মুরাদের শার্টের কলার চেপে ধরলে আত্মচিৎকারে খেলার মাঠ থেকে তার বড় ভাই বাপ্পি, ফাহাদ, খলিলসহ অন্যান্য খেলোয়াররা এগিয়ে এসে মুরাদকে উদ্ধার করে।

এমারধোরকে কেন্দ্র করে রায়পুর পৌরশহরের ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ফজলুর রহমান, শাহিনুর বেগম, ফাহাদ হোসেন, পপি আক্তার, খলিল, মুরাদ ও বাপ্পীসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামি করে লক্ষ্মীপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। যার নং ৪১.

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শামসুন্নাহার, মুজাহিদুল ইসলাম, খলিল ও দোকানদার সাগর হোসেন বলেন-‘ব্যাডমিন্টন খেলায় বৈদ্যুতিক তার ব্যবহার ও মিথ্যা ‘তার চোর’ সাব্যস্ত করায় মুরাদ নাসিরের বাকবিতণ্ডা হয়। এখানে ফজলুর রহমান, শাহিনুর বেগম, ফাহাদের কোনরকম সংশ্লিষ্টতা নেই। তবুও পূর্ব শত্রুতার কারণে অহেতুক মামলা দিয়ে হয়রানি করছে শফিক। প্রশ্ন উঠেছে নাসির ও মুরাদের মধ্যে চলমান বিবাদে শফিক কেনো মামলার বাদী হলো? আবার যাদের উপস্থিতি বা সংশ্লিষ্টতা নেই তাদের কেনো আসামি করলো?

ফজলুর রহমান ও শাহিনুর বেগম এ প্রতিবেদকের কাছে কান্নাজড়িতকণ্ঠে বলেন-‘আমরা তাদের ঝগড়াঝাটি বা মারামারিতে ছিলাম না, তাদের ঝগড়াঝাটির ভিডিও ফুটেজ আছে। দেখেন, আমরা সেখানে আছি কিনা! আমাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে শফিক ও নাসির।’

এ বিষয়ে মামলার বাদী শফিকের সাথে মুঠোফোনে আলাপ করলে তিনি নাসিরের সাথে কথা বলার জন্য অনুরোধ জানান। নাসির মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে বলেন-‘মুরাদ তার সাঙ্গোপাঙ্গ নিয়ে এসে আমার ঘরে আমাকে মারধোর করে। আমার শার্টের কলার চেপে ধরে। উল্টো আমাকে হয়রানি করে। আমি ৯৯৯ কলেজ করে নিস্তার পাই।’

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোঃ সোহেল বলেন-‘ আমি মামলা তদন্ত করছি। তদন্ত করে সঠিক নিরপেক্ষ রিপোর্ট দেয়া হবে। অহেতুক কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবো।’

এলাকাবাসীর দাবি মিথ্যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা থেকে ফজলুর রহমান, ফাহাদ ও শাহিনুরকে অব্যাহতি দিয়ে মামলাটি খারিজ করে দেয়া হোক। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় এলাকাতে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে।

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।
ঘোষনাঃ