নওগাঁ প্রতিনিধিঃনওগা জেলার মহাদেবপুর উপজেলার উত্তরগ্রাম ইউনিয়নে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার ৮নং উত্তরগ্রাম ইউনিয়নে স্থানীয় নির্বাচনে, নৌকা প্রতিকের নির্বাচনী প্রচারণা করায়, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতির ভাইয়ের বাড়ীতে ও সাধারন সম্পাদকের বাড়ীতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শ্রীঃ রঞ্জিতকুন্ডু ও সাধারন সম্পাদক মোঃ জার্জিস আলম সুইট অভিযোগ করে জানায়, গত ২৬শে ডিসেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তারা মোট ৬জন নৌকা প্রতিক প্রত্যাশি ছিলেন। দলীয় এবং দেশরত্ন শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তে মোঃ বজলুর রশিদকে নৌকা প্রতিক দিলে, তারা সবাই সবাই দেশরত্নের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে তারাও নৌকা প্রতিককে সমর্থন করেন, কিন্তু শাহ আলম ফয়সাল প্রত্যাহার না করে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করেন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নৌকা প্রতিকের প্রচার প্রচারনায় সব সময় ব্যাস্ত রাখেন নিজেদের।
শাহ আলম ফয়সালের আনারস প্রতিকের পরাজয় হলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে দ্বায়ী করে, তাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাড়ীতে প্রায় ৫০/৬০ জন লোক নিয়ে হামলা চালায়। এতে সভাপতির বড় ভাইয়ের বাড়ীর গেট, ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে বাড়ীর গ্লাস ভেঙ্গে বাড়ীর সকল সদস্যের একটা ভীতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দেয় এবং তারা বার বার শুধু সভাপতির খোঁজ করে। সভাপতিকে না পেয়ে তার প্রতিবন্ধী ছেলেকে শরীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে।
অন্য দিকে সাধারন সম্পাদকের বাড়ীতেও একই কায়দায় হামলা চালায় বলে তারা অভিযোগ করেন।
এ বিষয়টি নিয়ে গতকাল (২৭ডিসেম্বর) সোমবার বৈকালে স্থানীয় আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা এক প্রতিবাদ মিছিল করেন। মিছিল শেষে নেতাকর্মীরা বলেন, তারা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন,দেশ রত্ন শেখ হাসিনার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা নৌকা প্রতিকের নির্বাচনী প্রচারণা করেছেন। কোন ব্যাক্তির নির্বাচন করেন নাই। এমন হামলার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, শাহ আলম ফয়সাল এর এমন অন্যায়ের শক্তির উৎস কোথায়, কোথা থেকে এমন সাহস দেখায় এটাও খুঁজে দেখতে হবে। বক্তারা শাহ আলম ফয়সালের সাথে তার মদদ দাতারও শাস্তির দাবী জানান।