ঈশ্বরদী প্রতিনিধিঃ পাবনা সদরের হেমায়েতপুর ইউনিয়নে জামাতে ইসলামী সমর্থিত বিজয়ী চেয়ারম্যানের লোকজন আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শামীম হোসেন (৩৫) কে গুলি করে হত্যা করেছে। মঙ্গলবার ২৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ইউনিয়নের নাজিরপুর হাটপাড়া এলাকায় নির্বাচনোওর পরবর্তী সহিংসতায় এ ঘটনা ঘটে। পাবনা সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহত শামীম হোসেন হেমায়েত পুর ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ওরফে নুর আলীর ছেলে। সে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও পেশায় পরিবহন ব্যবসায়ী।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পাবনা হেমায়েতপুর ইউনিয়নের নাজিরপুরের একটি চায়ের দোকানের নৌকার পরাজিত প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম মধু তার মামাতো ভাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শামীম সহ ১০/১২ জন চা পান করছিলেন। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে ও গুলি চালায়। এ সময় শামীম গুলিবিদ্ধ হয় এবং আরো কয়েকজন আহত হয়। শামীমকে দ্রুত পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ছে।
পুলিশ সূত্রে ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষে নিলু আহমেদের ছেলে ইমরান হোসেনের আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে মঞ্জুরুল ইসলাম মধুর সমর্থক আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শামীম হোসেন নিহত হয়।
হেমায়েতপুর ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম মধু ক্রাইম-নিউজ ঢাকাকে বলেন, জামায়াতনেতা ও নির্বাচনে বিজয়ী আলম হাজীর লোকজন তাদের উপর অতর্কিত হামলাও গুলি চালালে হেমায়েতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক স্বামী মারা যায়।
এ ব্যাপারে ঘোড়া মার্কা প্রতীকের বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ওরফে আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। রিকশা প্রতীকের আরেক পরাজিত প্রার্থী তরিকুল ইসলাম নিলুর সঙ্গে ঝগড়ার কারণে এই হত্যাকাণ্ড।
পাবনা সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রতিপক্ষের গুলিতে হেমায়েতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শামীম হোসেন মারা গেছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে পরে বিস্তারিত জানা যাবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই এলাকায় অতিরিক্তর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।