স্টাফ রিপোর্টারঃ রাজধানীর তুরাগ থানাধীন দলিপাড়া এলাকা অবৈধ বাড়ির তথ্য সংগ্রহকালে এক নারী সাংবাদিককে শীলতাহানীর অভিযোগ পাওয়া যায়। সুত্রে জানাযায়, দলিপাড়া মোড়ে আল্লাহ ওয়ালা ভবনের পাশের প্লটে রাজউকের অনুমোদন ব্যতীত একটি বহুতল ভবন নির্মাণের তথ্য সংগ্রহ কালে এ ঘটনা ঘটে। এসময় নারী সাংবাদিক শিমুলী আক্তার নীলু বাদী হয়ে ঐদিন সন্ধ্যায় তুরাগ থানায় একটা অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন অভিযোগ আমলে না নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিনে জানাযায়, রাজধানীর তুরাগ থানার দলিপাড়া মাদ্রাসা রোড এর আল্লাহ ওয়ালা ভবনের উত্তর পাশের প্লটে রাজউকের অনুমোদন ব্যতীত দুই পাশে সিটি কর্পোরেশনের রাস্তার জায়গা দখলে নিয়ে একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করছে এনামুল হক নামের সাবেক এক পুলিশ অফিসার। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সাংবাদিক শিমুলী আক্তার নীলু তার এক সহকর্মীকে নিয়ে গত ১৫/১২/২০২১ তারিখে ভবনটির তথ্য সংগ্রহে যান। সেখানে তারা ভবনের দায়িত্বরত কামরুলের নিকট কিছু তথ্য সংগ্রহ করে এবং বাকি তথ্য সংগ্রহের জন্য ভবন মালিক সর্ম্পকে জানতে চাইলে এনামুল হক (ভবন মালিক) শিমুলী আক্তার নীলুর পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে তার ভবন হতে নিছে রাস্তায় ফেলে দেন ও অকত্য ভাষায় গালমন্ধ করতে থাকে। ভবন মালিকের এহেন আচরন দেখে নারী সাংবাদিক উত্তরা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক মানবকন্ঠের তুরাগ উত্তরা প্রতিনিধি রাসেল খানকে বিষয়টি অবহিত করেন। ঘটনাটি সভাপতির এলাকায় হওয়ার সুভাধে তিনি নিজে সেখানে জান এবং ভবন মালিকের কাছ থেকে ঘটনার সর্ম্পকে জানতে চাইলে ভবন মালিক তারসাথেও খারাপ আচন করে এবং ধাক্কাতে ধাক্কাতে রাস্তায় ফেলে দেন। ঐ সময় সে পুরো সাংবাদিক জাতীকে নিয়ে বিভিন্ন বিরুপ মন্তব্য করে নিজেকে পুলিশের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিচয় দেন এবং নড়াইল ২ আসনের সাংসদ ও বাংলাদেশের জাতীয় দলের ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজার শশুর দ্বাবি করেন। এ ছাড়াও আরো বলেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক এর বর্তমান চেয়ারম্যন তার ভাই, সে রাজউকের চেয়ারম্যানের সাথে দেখা করেছে। এদিকে রাজউকের চেয়ারম্যনকে সাথে সাথে বিষয়টি জানালে তিনি তাকে চিনে না বলে এই প্রতিবেদক কে জানান। এই ভবনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার আশ্বাস দেন। তার কিছুক্ষন পরে রাজউক মহাখালী থেকে ইমারত পরিদর্শক নাইম আল মুরাদ ঘটনাস্থলে আসে। ভবনের বিষয়টি অনুসন্ধান করে চলে যান। ১৫/১২/২১ তারিখ বিকেলে রাজউক কর্তৃপক্ষ এই ভবনের বিষয়ে রাজউক অনুমোদিত নকশা (মহঞ্জুরী) দাখিলের জন্য একটি নোটিশ করে। উক্ত নোটিশে তুরাগ থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে আলোচ্য নির্মাণাধীণ ইমারতের সকল প্রকার নির্মাণ কাজ/বসবাস বা যে কোন ব্যবহার বন্ধ করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ করেন।
অন্যদিকে উক্ত ঘটনায় ঐ নারী সাংবাদিক শিমুলী আক্তার নীলু পুলিশের হেল্প লাইন ৯৯৯ কল করলে তুরাগ থানা হতে সাব ইনেসপেক্টর জিহাদ ঘটনাস্থলে যান। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে ঘটে যাওয়া সব শুনে ও সামনে একটি হোটেল মালিকের সাথে কথা বলে সত্যতা পেয়ে এনামুল হকের সাথে আলাদা কথা বলে বিষয়টি দামাছাপা দিতে মরিয়া হয়ে যান। তিনি একাধিকবার বলেন বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকরা কোন প্রকার আইনি প্রদক্ষেপ না নিয়ে সাথে সাথে সমাধান করুন। তার এমন আলোচনায় শিমুলী আক্তার নীলু উত্তরা প্রেস ক্লাবের নির্বাচিত ১নং সদস্য হওয়ায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের মতামত ও ক্লাবের সদস্যদের মতামত নিয়ে ১৫/১২/২১ ইং তারিখে সন্ধ্যায় তুরাগ থানায় যান মামলা করতে। থানায় যাওয়ার পরে প্রায় ৩ ঘন্টা বসে থাকার পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উগ্রো ক›েঠ নিলুকে একটা অভিযোগ রেখে যেতে বলেন। এ বিষয়ে সাংবাদিক শিমুলী আক্তার নিলু বলেন, আমি অবৈধ ভবন সম্পর্কে জানতে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে ভবনে দায়িত্বরত কর্মীরা এবং ভবন মালিক নিজেই আমাকে লাঞ্চিত করেন এবং ভবন মালিক আমাকে খুন করে গুম করার ও হুমকি দেন।
আমি ও আমার সভাপতিকে ধাক্কা দেওয়া উত্তরা তথা সারা বাংলাদেশের সকল সাংবাদিকদের ধাক্কা দেওয়ার সমান। এনামুল হক যে ভাবে সাংবাদিক জাতিকে নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করেছে তা একজন সাংবাদিক হিসেবে কখনো মেনে নেওয়া যায়না। শিমুলী আক্তার নিলু বলেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার এমন উর্দ্দত পূর্ণ আচরন সাংবাদিকদের জন্য হুমকির সরুপ। অন্যদিকে এ ভবনের বিষয়ে তাকে বিভিন্ন দিক থেকেও বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করে আসছে ভবন মালিক। এছাড়া পুলিশের গোয়েন্দা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ভাবে মুঠোফোনে হুমকি দিয়ে আসছে। এব্যাপারে আমার নিরাপত্তা চেয়ে দক্ষিণখান থানায় একটি সাধারণ দায়েরী করার পরও দক্ষিণখান থানা পুলিশ কোন গুরুত্ব না দিয়ে অভিযুক্তের পক্ষে সাফাই গাইছে।