ক্রাইম নিউজ ঢাকা ডেক্সঃ রাজধানীর তুরাগে গতকাল শনিবার বিকেল আনুমানিক ৩ঃ৪৫ মিনিটের সময় পুলিশের সোর্স হাসানের সংবাদের ভিত্তিতে তুরাগের পশ্চিম কালিয়ারটেক মসজিদ রোডে ১০ নং বাড়ির মৃত হাজী মাহিদ উদ্দিন মাদবরের ছেলে মোঃরমজান আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একজন গাঁজা সেবনকারীকে আটক করেন তুরাগ থানার এস আই শাহীন ও এ এস আই মমিনসহ আনসার মাহাতাব। আটকের একপর্যায়ে মোঃ খালেককে বেধড়ক মারধর করে খালেকের কাছে থাকা ৯০০০ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে চলে যায় এস আই শাহীন ও এ এস আই মমিন। পরে অতিরিক্ত মারধরের কারণে রাতে মোঃ খালেকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মোঃ খালেক রাজশাহী জেলার পটিয়া থানাধীন শাহবাজপুর গ্রামের বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন আশপাশের লোকজন।মোঃ খালেক পেশায় একজন ফল বিক্রেতা ছিলেন বলে জানান বাড়ির মালিক।
পরে সকালে বাড়িটির অন্যান্য ভাড়াটিয়ারা মোঃ খালেককে মৃত অবস্থায় দেখে বাড়ির মালিককে জানালে বাড়ির মালিক মোঃ রমজান আলী ঘটনার বিষয়ে তুরাগ থানায় অবগত করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে লাশের সুরতহাল করে লাশ নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। অভিযোগ রয়েছে মৃত খালেকের চাচা ঘটনাস্থলে থাকা সত্ত্বেও লাশের সাথে তাকে নেয়া হয়নি।এবিষয়ে ঘটনাস্থলে থাকা একাধিক ব্যক্তি বলেন গতকাল শনিবার বিকেলে পুলিশের এস আই শাহীন ও এ এস আই মমিন বাড়িতে এসে সরাসরি খালেকের রুমে প্রবেশ করে খালেককে গামছা দিয়ে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে খালেকের কাছ থেকে ৯০০০ হাজার টাকা নিয়ে চলে যাওয়ার সময় খালেক বলে উঠে স্যার সব টাকা নিয়ে গেলেন আমি রাতে কি খাব আমার খাবারের জন্য কিছু টাকা দিয়ে যান পরে এস আই শাহীন খুচরা ১০০ টাকা ফেরত দিয়ে চলে যায়।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি খালেক ভাইয়ের রুমের দরজা খোলা,, পরে ভিতরে তাকিয়ে দেখি খালেক অস্বাভাবিক ভাবে শুয়ে আছে পরে আমরা বাড়ির মালিক কে ঘটনার বিষয়ে জানালে বাড়ির মালিক মোঃ রমজান আলী থনায় অবগত করে পালিয়ে যায়। এবিষয়ে এস আই শাহীনের মুঠোফোন একাধিক ফোন দিলেও রিসিভ করেনি।
তবে তুরাগ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মেহেদী হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এমন একটি ঘটনা ঘটেছে লাশ উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে,, পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন মৃত খালেককে মারধর করা সহ টাকা আনা হইনি। কি লিখবেন সেটা আপনাদের ব্যপার। পরে পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এমন একটি ঘটনা ঘটেছে তবে পুলিশ মারধর করেছে এমন কিছু আমার জানা নেই।। তিনি আরো বলেন লাশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।