নুরুল আলম,টেকনাফঃকক্সবাজার টেকনাফের হোয়াইক্যং শামলাপুর পাহাড়ি ঢালার উত্তর কুঁইখালী খালের কিনারায় গভীর জঙ্গলের ভিতর হতে এক কংকাল মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শিলখালী এলাকার মৃত্যু ছালেহ আহমেদের পুত্র নিখোঁজ সিএনজি চালক মাহমুদুল করিম (৩৯) এর মৃত্যুদেহ বলে দাবী করছে তার পরিবার। গত ২৯ জুন রাত সাড়ে ৮টার দিকে টেকনাফ হোয়াইক্যং ঢালাতে রোহিঙ্গা অপহরণ চক্রের হাতে নিখোঁজ হয় সিএনজি ড্রাইভার মাহমুদুল করিম। সেই থেকে দীর্ঘ এক মাস ১৪দিন পর উদ্ধার তার মৃত্যুদেহের কংকাল পাওয়া যায় পাহাড়ে সুত্র মতে বৃহষ্পতিবার ১২ আগস্ট দুপুর ২টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং শামলাপুর পাহাড়ি ঢালার উত্তর কুঁইখালী খালের কিনারা জঙ্গলের ভিতর হতে মাহমুদুল করিমের গলিত্ব মরদেহ পুলিশে উদ্ধার করে। মাহমুদুল করিমের গলিত লাশ পুলিশ উদ্ধারের পর পর সত্যতা নিশ্চিত করে বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাওলানা আজিজ উদ্দিন বলেন , গত ২৯ জুন রাত সাড়ে ৮টার দিকে হোয়াইক্যং ঢালাতে রোহিঙ্গা অপহরণ চক্রের হাতে নিখোঁজ হয় সিএনজি ড্রাইভার মাহমুদুল করিম। সেই থেকে দীর্ঘ এক মাস সময় অতিক্রম হলেও জীবিত কিংবা মৃত্যু কোন ধরনের খোঁজ খবর পাওয়া গেলে না ও তার পরিবার।
এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানায় একটি এজাহারে মাধ্যমে অভিযোগ করেন । পুলিশ একাধিক আসামী আটক করেছিল। কিন্ত মাহমুদুল করিমকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি পরিবারের একমাত্র উপার্জকের নিখোঁজের কারণে উৎকন্ঠা হতাশায় অনাহারে অর্ধহারে দিনাতিপাত করছিল তার স্ত্রী সন্তান। তাদের আকুতি ছিল যে কোনো উপায়ে মাহমুদুল করিমকে অক্ষত অবস্থায় তাদের কাছে ফিরে পাওয়ার। কিন্তা ভাবনা শেষ মুহূর্তে শেষ রক্ষা হয়নি। ১২ আগস্ট দুপুরে স্থানীয়রা একটি গলিত লাশ দেখতে পেয়ে অপহরণের সময় পরনে থাকা পোষাকের মাধ্যমে মাহমুদুল করিমের বলে শনাক্ত করে তার পরিবার। দুপুর ২টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং শামলাপুর পাহাড়ী ঢালার উত্তর কুঁইখালী খালের কিনারা জঙ্গলের ভিতর হতে মাহমুদুল করিমের গলিত লাশ পুলিশের দল উদ্ধার করে। পোষাক ছাড়া আর কিছু অবশিষ্ট নেই। রোদ বৃষ্টিতে শরীর সম্পুর্ণ গলে গিয়ে কংকালে পরিণত হয়েছে। বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক নুর মোহাম্মদ জানান, ‘সিএনজি চালক মাহমুদুল করিমকে অপহরণের অভিযোগে এ পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আসামীরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও প্রদান করেছে। নাছির নামের একজনের বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। অভিযুক্ত বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।