,


শিরোনাম:
«» তুরাগে গৃহবধু হত্যার অভিযোগে স্বামীর বন্ধু গ্রেফতার «» ভাড়া বাসায় অবস্থান করে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতী করতো তারা’ «» ঈশ্বরদীতে ২০০ লিটার মদসহ গ্রেফতার ১ «» ঈশ্বরদীতে নবজাতক হত্যার অভিযোগ সাবেক স্বাস্থ্যকর্মীর আকলিমার বিরুদ্ধে «» সাংবাদিকতার দায় একমাত্র জনসাধারণের কাছে:তিতুমীর «» ঈশ্বরদীতে প্রণোদনার সার-বীজ প্রদানে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ প্রকৃত কৃষকদের «» ঈশ্বরদীতে বালু খেকোদের কবলে বিলিন হাজার হেক্টর ফসলি জমি, দিশেহারা কৃষক «» ঠাকুরগাঁওয়ে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পালিত র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত «» চাঁপাইনবাবগঞ্জ সাবেক এমপি ও জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসভবনে হামলা «» চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষকলীগের অনুষ্ঠানে সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা মিনহাজ আহত

সুনামগঞ্জে শিশু বলাৎকারের ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা চেয়ারম্যানের এলাকায় তোলপাড়ঃমামলায় বাধা

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার উপজেলার বাংলাবাজারে ৯ বছরের এক শিশুকে বলৎকারের ঘটনার ৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও নিরীহ পরিবারকে মামলা করতে দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ গ্রাম্য মাতব্বরা বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। গত সোমবার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের পেকপাড়া (আননপাড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে বোগলাবাজার ইউনিয়নের উত্তর আলম খালি গ্রামের দরিদ্র পরিবারের ৯ বছরের শিশু পুত্র খেলতে গেলে পার্শ্ববর্তী পেকপাড়া (আননপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা রাশিদ মিয়ার পুত্র মিজান তাকে ডেকে নিয়ে মাদ্রাসার নির্জন কক্ষে বলৎকারের ঘটনা ঘটায়। এ ঘটনার পর শিশুর পায়ুপথ দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকলে এবং শিশু গুরুতর আহত হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে সিলেট কোতোয়ালি থানা প্রশাসন তদন্ত রিপোর্ট দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ’র বরাবরে সিলগালা করে পাঠালে ওই চিঠিও কর্তৃপক্ষকে দেয়া হয়নি।শিশুর পিতা প্রতিবেদনটিও থানায় পৌছাননি তার পকেটে নিয়ে ঘুরছে গ্রাম্য মাতাব্বরদের ধারে ধারে। এ ঘটনা ব্যাপকভাবে জানাজানি হওয়ার পর গত দুইদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এনিয়ে তোলপাড় চলছে।বলৎকার হওয়া শিশুর পিতাকে থানা প্রশাসনকে না জানাতে প্রভাবশালী পক্ষ এখন নানাভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে বলেও অভিযোগ ওঠেছে। ক্ষতিগ্রস্ত শিশুর পিতা বলেন, ঘটনার পর আমার ছেলের অবস্থা খারাপ হয়ে গেলে আমি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অবহিত করে চিকিৎসার জন্য হাসাপাতালে নিয়ে যাই। চিকিৎসা শেষে এলাকায় এসে আবারও তাদের কাছে গেলে তারা মামলা মোকদ্দমা না করতে বলেন এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন মাস্টার ১৫ হাজার টাকা নিতে বলেন। কিন্তু আমি টাকা নেয়নি। আমি নিরীহ মানুষ। ঘটনাকারীর পরিবার এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের সাথে মামলা মোকদ্দমা করে পারবো না বলেও জানান গ্রামের মানুষ। নানাভাবে তারা আমাকে এখন মামলা না করতে হুমকি দিয়ে আসছে। ভবিষ্যতে তারা নানাভাবে আমাকে ফাঁসিয়ে দিবে বলে হুমকি দিচ্ছে। এদিকে জানতে চাইলে বাংলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন মাস্টার বলেন, এ ঘটনা শুনেছি। তবে বাস্তবতা আমার জানা নেই। দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ দেবদুলাল ধর বলেন, ঘটনাটি জেনেছি। ওসিসির প্রতিবেদন পাওয়ার পর ঘটনাকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।
ঘোষনাঃ