,


শিরোনাম:
«» উত্তরা তুরাগে ঢালায় সাজিয়ে রাখা পন্যের মতোই বিক্রি হচ্ছে মাদক দ্রব্য «» সেক্টরের সড়কে বিশাল গর্তে পড়ে আছে গরিবের আয়ের উৎস রিকশা «» শাহজালালে ৩৫১৮ পিস ইয়াবাসহ এক যাত্রী আটক «» ঢাকা ১৮ আসনে দয়াল কুমার বড়ুয়ার ঈদ উপহার বিতরণ। «» আব্দুল্লাহপুরে ময়মনসিংহের অবৈধ বাস কাউন্টারে যাত্রী হয়রানি ও মারধর অভিযোগ উঠেছে। «» জামালপুরে সাংবাদিক নাদিম হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে উত্তরা প্রেস ক্লাব। «» আব্দুল্লাহপুর টি আই’র লাঠির আঘাতে পরিবহন শ্রমিকের কান্না। «» তুরাগে এক দশক ধরে মাদক ব্যবসা করা কদম গ্রেফতার। «» তুরাগে গৃহবধু হত্যার অভিযোগে স্বামীর বন্ধু গ্রেফতার «» ভাড়া বাসায় অবস্থান করে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতী করতো তারা’

তুরাগে লকডাউনের মাঝেও চলছে কারখানাঃঅনুসন্ধানে গেলে,সাংবাদিকদের হুমকি

মিরাজ সিকদারঃ রাজধানীর উত্তরার তুরাগের নয়ানগর/নলভোগ রাসুর মোড় সংলগ্ন ঢাকা প্রিন্টার্স এন্ড কার্টন্স লিমিটেড নামক প্যাকেজিং কারখানায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে। স্বাস্থ্য বিধির তোয়াক্কা না করেই ৩৫ থেকে ৪০ জন শ্রমিক দিয়ে গোপনে কারখানার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, মালিক কর্তৃপক্ষ, সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের কাহারও মুখেই মাস্ক নেই এবং স্বাস্থ্যবিধী মানার বালাই নেই।

শ্রমিকদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক অনুসন্ধানী টিমকে জানায় যে, আমাদেরকে ঈদের আগে ছুটি দেওয়ার সময় অভার টাইমের টাকা দেওয়া হয়নি, যদিও অভার টাইমের টাকা প্রতি মাসের ২০ তারিখে দেওয়ার কথা।” কঠোর লকডাউনের মধ্যে ডিউটিতে আসার ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, “আমাদের ঈদের আগে ছুটি দেওয়ার সময়ই বলে দিসে ঈদের পর ২৫ তারিখ থেকে খোলা থাকবে, যদি কেউ না আসে তাহলে তাদের ছুটির সম্পূর্ণ দিনগুলিই এবসেন্ট/বাতিল বলে গণ্য হবে। তাই আমরা বাধ্য হয়েই ফ্যাক্টরিতে এসে কাজ করছি।এমনিতেই গত মাসের ওভার টাইমের টাকা এখনো দেয় নাই।”

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কারখানার ম্যানেজার মোঃ মামুন সাংবাদিকদের বলেন আমাদের সকল শ্রমিকদের মাস্ক পরিহিত অবস্থায় আছে এবং কাজ করছে, কি কাজ করছে জানতে চাইলে তিনি  বলেন ফার্মাসিটিক্যাল কাজ করছে, এক পর্যায়ে সাংবাদিকেরা কারখানায় প্রবেশ করলে দেখা যায় বিভিন্ন কোম্পানির ইলেকট্রনিক ডিভাইস সহ খাদ্য পন্যের পেকেট তৈরী করছে কারখানাটি।

এছাড়াও একাধিক শ্রমিক অভিযোগ করেন যে কাজের সময় যে, কারখানাটিতে অনেক ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়।কিন্তু কেমিক্যাল ব্যবহার কৃত রোলার গুলো কারখানাটির একপাশে ওয়াশরুমের কোনায় ফেলে রাখা হয়।যা স্বাস্থের জন্য ঝুকিপূর্ণ। এমনকি পুরুষ ও মহিলাদের জন্য নেই কোন আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা।সকলেই যৌথ ভাবে ব্যবহার করেন ২ টি টয়লেট।

সাংবাদিকরা ঘটনার অনুসন্ধান শেষে আসার পথে কারখানাটির জমির মালিক লেহাজ উদ্দিনের ভাতিজা পরিচয়ে মোঃ আহমেদ পাপ্পু (২৬) নামক এক ব্যক্তি সাংবাদিকদের কারখানায় যাওয়ার কারন জানতে চায়।ঘটনা শোনার পর মালিক পক্ষের সাথে কথা বলে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে সংবাদ কর্মীদের হুমকি প্রদান করে এবং একপর্যায়ে বলে উঠে, ”রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও তাতে কি এমন জায়গায় এসেছ বেশি করলে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দিব।”

এ বিষয়ে কারখানা মালিক মারুফের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ”আমার কারখানা খোলা না বন্ধ সেটা দেখার ব্যাপার থানা পুলিশের ,আপনি কে? আমার কারখানা চালানোর অনুমোদন আছে।”অনুমোদন কে দিয়েছেন জানতে চাইলে সঠিক উত্তর না দিয়ে কথা এড়িয়ে যায়।স্বাস্থ্য বিধি না মানার কারন জানতে চাইলে সাংবাদিকদের উপর উত্তেজিত হয়ে বলে উঠেন আমার অনেক ফ্রেন্ড আছে সাংবাদিক! আপনি কিসের সাংবাদিক মিডিয়া সেলে এসে আমার সাথে কথা বলেন এই বলে ফোন কেটে দেন।

এবিষয়ে উত্তরা জোনের উপ পুলিশ কমিশনার মোঃ সাইফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন প্রকার কলকারখানা চালানোর অনুমোদন দেয়া হয়নি। যদি কেউ কারখানা খোলা রাখে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।
ঘোষনাঃ