মিরাজ সিকদারঃ মুরব্বিরা বলেন গ্রাম্য ভাষায় “বারে বারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান,এবার এসে ঘুঘু তুমি ফাঁন্দে দাও পাও”। হয়তো এবার আশুলিয়ায় কথিত রিপোর্টাস ক্লাবের সধারণ সম্পাদক বাবুল খাঁনের হয়েছে সেই হাল।
দীর্ঘদিন যাবৎ চাঁদাবাজি,ফিটিংবাজি,ঈদ বা বিশেষ কোন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে নেতাদের দরজায় দরজায় যেয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করা সহ নানা অভিযোগে জর্জরিত এই ক্লাবটি।এই ক্লাবের অধিকাংশ সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোন আন্তঃ নেই।কথিত সভাপতি শাহ্ আলম থেকে শুরু করে কম বেশি সকলেরই বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি, চাঁদাবাজি সহ রয়েছে একাধিক অভিযোগ।
পতিতাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির অপরাধে প্রশাসনের হাতে গ্রেফতার হয়ে এই ক্লাবের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক রিপন ও সদস্য মনির জেল ও খেটেছে কয়েক মাস।সভাপতি শাহ্ আলম এর বিরুদ্ধে ও রয়েছে বউ থাকতে আপন শালীকে বিয়ে করাসহ একাধিক অভিযোগ।গত কয়েক মাস আগেই ঐ ক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি নাসিম খাঁন তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন এক নারীকে প্রলোভন দেখি ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে।
ঐ ক্লাবের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাহবুর রহমান মানিকের বিরুদ্ধেও এক ভুক্তভোগী নারী আশুলিয়া থানায় অভিযোগ করেছিলো প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অপরাধে।শুধু তাই নয় ঐ ক্লাবের সদস্য হল কামালের বিরুদ্ধে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে গতমাসে একটি মামলা ও হয়েছে।
এমন অজস্র নেক্কার জনক ঘটনায় জর্জরিত আটা ময়দা মাখানো এই ক্লাবের সদস্যরা। এগুলো ঘটনার রেষ কাটতে না কাটতেই, গতকাল ০৭।০৭।২০২১ইং রোজ বুধবার ধামসোনা ইউনিয়নের ভাদাইল উত্তরপাড়া এলাকার প্রবাসী মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ মার্জিয়া আক্তার (২৩) নামক এক গৃহবধূকে বার বার শারীরিক সম্পর্কস্থাপনের কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠে বাবুলের বিরুদ্ধে।
উক্ত বিষয় নিয়ে ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ নিকটস্থ আশুলিয়া থানায় বাবুলের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, গৃহবধূর স্বামী একজন প্রবাসী তিনি বিদেশ থাকেন।গৃহবধূটি তার শ্বশুড়ীর সাথে নিজেস্ব বাসায় বসবাস করেন।গত ১৭।০৪।২০২১ইং তারিখে তার শ্বাশুড়ী মৃত্যুবরণ করেন।
গৃহবধূ অভিযোগ করে বলেন, তার শ্বাশুড়ী মারা যাওয়ার পর বাসায় তাকে একা পেয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিয়ে আসতো বাবুল খাঁন।তার সেই সব কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অভিযুক্ত বাবুল তার শ্বাশুড়ীর কাছে ৩ লক্ষ টাকা পাবে বলে দাবি করেন।তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ও দাবিকৃত টাকা দিতে না চাওয়ায় বাবুল খাঁন বাসা থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকিসহ নানা রকম হুমকি প্রদান করেন ওই গৃহবধূকে।
এতে নিরাপত্তাহীনতায় থাকার কারনে গৃহবধূ বিচার চেয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।