নজরুল ইসলাম,শরীয়তপুরঃ
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড হাজি মোমেন অালি ফরাজীকান্দিতে আদালতের ১৪৪/১৪৫ ধারা অমান্য করে দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ছোট ভাই কিনু মোড়লের বিরুদ্ধে ৷
গত ২৪ জুন সরোজমিন ঘুরে এবং কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায় ৯৯ নং পূর্ব নাওডোবা মৌজার বি অার এস ৪৪০ নং খতিয়ানে ৬০৯৬ নং দাগে ০.৬০ একর জমি পৈতৃক সূত্রে মালিক হয়ে সাজাহান মোড়ল এবং তার ছোট ভাই কিনু মোড়ল ভোগ দখল করে অাসতেছে ৷ কিন্তু জমিটির পাশ দিয়ে অাড়াঅাড়ি ভাবে পাকা সড়ক নির্মাণ হইলে সাজাহান মোড়লের পাশ দিয়ে প্রায় ১.৫০ শতাংশ জমি কমে যায় ৷ এতে সাজাহান মোড়ল রাস্তা বাদ দিয়ে জতটুকু জমি থাকে তা সমান ভাগে ভাগ করতে চাইলে ছোট ভাই কিনু মোড়লের সাথে বিরোধ বাধে ৷ কিনু মোড়ল জমি সমান ভাগে ভাগ করতে রাজি না হইলে নিরুপায় হয়ে অাদালতের শরণাপন্ন হন,এতে অাদালত জমিটির উপর ১৪৪/১৪৫ ধারা জারি করেন ৷ কিন্তু অাদালতের ১৪৪/১৪৫ অমান্য করে কিনু মোড়ল একটি দোকান ঘর নির্মাণ করেছেন ৷
এই বিষয়ে কিনু মোড়ল বলেন-অামি একজন অপরাশনের রুগি ! অামার শরিল বাইপাস সার্জারি করা ৷ অামি কোন ভারি কাজ করতে পারি না ৷ তাই অামি অামার জমির উপর দোকান ঘর তুলে মুদির ব্যবসা করে চারটা ডাল ভাত খেয়ে বাচতে চেয়েছিলাম ৷ কিন্তু অামার বড় ভাইর তা সহ্য হয় নাই ! অামাকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছে ৷ সে অারও বলেন,অামার ভাই অারো দুই বার ১৪৪/১৪৫ ধারা জারি করিয়ে ছিল,অামি রায় পেয়েছি ৷ এবারও অামি রায় পেয়েছি ৷ অার রায় পেয়ে অামি দোকান ঘর তৈরি করতেছি ৷ কিন্তু কিনু মোড়ল রায়ের কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারেননি ৷
এই বিষয়ে জাজিরা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন-অামি অাগামীকাল সরোজমিনে যাব ৷ উভয়কে ডেকে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো ৷ সমাধান না হইলে প্রোয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো ৷