,


শিরোনাম:
«» শাহজালালে ৩৫১৮ পিস ইয়াবাসহ এক যাত্রী আটক «» ঢাকা ১৮ আসনে দয়াল কুমার বড়ুয়ার ঈদ উপহার বিতরণ। «» আব্দুল্লাহপুরে ময়মনসিংহের অবৈধ বাস কাউন্টারে যাত্রী হয়রানি ও মারধর অভিযোগ উঠেছে। «» জামালপুরে সাংবাদিক নাদিম হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে উত্তরা প্রেস ক্লাব। «» আব্দুল্লাহপুর টি আই’র লাঠির আঘাতে পরিবহন শ্রমিকের কান্না। «» তুরাগে এক দশক ধরে মাদক ব্যবসা করা কদম গ্রেফতার। «» তুরাগে গৃহবধু হত্যার অভিযোগে স্বামীর বন্ধু গ্রেফতার «» ভাড়া বাসায় অবস্থান করে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতী করতো তারা’ «» ঈশ্বরদীতে ২০০ লিটার মদসহ গ্রেফতার ১ «» ঈশ্বরদীতে নবজাতক হত্যার অভিযোগ সাবেক স্বাস্থ্যকর্মীর আকলিমার বিরুদ্ধে

ছাতকের ব্যবসায়ী এনাম হত্যা মামলার মূল আসামীরা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে

সেলিম মাহবুব,ছাতকঃ ছাতকে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী মোস্তফা আনোয়ার এনাম হত্যাকাণ্ডে জড়িত মূল আসামীরা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে পারছে না। হামলায় নিহত হাজী মোস্তফা আনোয়ার এনাম ছাতক পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের নোয়ারাই মহল্লার মৃত মতিন মিয়ার পুত্র। ঈদের আগের দিন বৃহস্পতিবার (১৩মে) ইফতারের পূর্বমূহুর্তে তার উপর হামলা চালায় তার আপন চাচাতো ভাই দবির মিয়া, দবির মিয়ার স্ত্রী লাভলী বেগম, আপন চাচা শিহাব মিয়া সহ লোকজন। নিজ বাড়ীতেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার পরপরই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী মোস্তফা আনোয়ার এনামকে সিলেটের পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর থেকেই তিনি হাসপাতালের আইসিইউ-তে ছিলেন। ১৯ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এ হামলার ঘটনার একদিন পর ১৫ মে মোস্তফা আনোয়ার এনামের ভাই মোস্তফা জোবায়ের বাদী হয়ে ছাতক থানায় ১০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলাটি শেষপর্যন্ত হত্যামামলা হিসাবে রুজু হয়েছে। ১৩ মে ঘটনার দিন দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। পরবর্তীতে তাদের হত্যামামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত আরো ৩ আসামী আদালতে হাজির হলে আদালত ৩ জনের জামিন নামঞ্জুর করেন। ৩ দিন পর আদালত থেকে জামিন নিয়ে বেরিয়ে আসেন জমির আলী মোল্লা। এরপর থেকে পুলিশ কোনো আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। ২৫ মে আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে এলাকাবাসীর উদ্যোগে নোয়ারাই বাজারে এক মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। নিহত মোস্তফা আনোয়ার এনামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী ভাই মোস্তফা কামাল জানান, রহস্যজনক কারণে হত্যা মামলার মূল আসামীদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ। ঘটনার ৪০ দিন অতিবাহিত হলেও এ নিয়ে পুলিশের কোনো তৎপড়তা দেখা যায়নি। মামলার বাদী মোস্তফা জোবায়ের জানান, হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। হত্যাকারীদের হামলা ও মামলার ভয়ে তার পরিবার এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আসামীপক্ষের লোকজন তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করে তাদেরকে হেস্তনেস্ত করে যাচ্ছে। শোকে মুহ্যমান তার পরিবারের লোকজন মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হয়ে উল্টো আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছেন। এদিকে হত্যাকারীরা নিরাপদেই রয়েছে ও প্রশাসনের নাকের ডগায় আসামীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি মামলার মূল আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।
ঘোষনাঃ