টেকনাফ,কক্সবাজারঃযোগদানের কয়েকমাস যেতে না যেতেই নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে কক্সবাজারের টেকনাফ রেঞ্জের ফরেস্টগার্ড নজরুল। বনখেকো ও পাহাড়ের মাটি চোর ডাকাতের সাথে যোগসাজস, দমদমিয়া চেকপোস্টে চাঁদা আদায়, দায়িত্ব অবহেলাসহ নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। তার অনিয়ম দুর্নীতি, দুর্ব্যবহারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে খোদ বনবিভাগ, সিপিজি সহ স্থানীয়রা। শুধু তাই নয় যোগদানের পর থেকে নিজস্ব কোয়ার্টারে অবস্থান না করে বন বিশ্রামাগারে অবস্থান নিয়ে রাত বিরাতে হৈ চৈ করে এলাকাবাসীকে পর্যন্ত সন্ত্রস্ত করে তুলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে স্থানীয়রা টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম বরাবর অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। এবং অভিযোগের ব্যাপারে আলম চেয়ারম্যান থেকে জানতে চাইলে ✆ নং বন্ধ পাওয়া যায় এবং পরিবর্তে চেয়ারম্যান থেকে যেনে নেব বনবিভাগ, বনকর্মী ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তিনি সরকারী চাকুরীর কোন নিয়ম নীতি মানেন না। কথায় কথায় তার উপর মহলে হাত রয়েছে, কেউ কিছু করতে পারবে না বলে দম্ভোক্তি ও দুর্ব্যবহার করেন। তার বিরুদ্ধে বনখেকো ও পাহাড়ের মাটি চোরদের সাথে যোগসাজসের গুরুত্বর অভিযোগ উঠেছে। বন বিশ্রামাগারে অবস্থান করে তিনি পাহাড় খেকো কাঠ চোর ও মাটি কর্তনকারীদের অভিযানের খবর আগেভাগেই জানিয়ে দেন বলে সন্দেহ করছেন খোদ বনবিভাগের কর্মকর্তারা। এই ব্যাপারে জানতে চাইলে টেকনাফ রেঞ্জ কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক আহমেদ জানান, ফরেস্টগার্ড নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ আসায় ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে উদ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবেন। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু টেকনাফেই নয় ইতিপূর্বে তিনি যেসব স্থানে দায়িত্ব পালন করেছেন ইনানী হইতে , বান্দরবানসহ প্রায় সব জায়গায় তিনি নানা ঘটনার জন্ম ও প্রজন্ম দিয়েছেন বলে জানা যায় এই ব্যাপারে মুঠোফোনে মাধ্যমে জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম এইসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।