মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জঃ
সুনামগঞ্জ জেলার চোরাচালানের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত তাহিরপুর উপজেলা
সীমান্ত। এই সীমান্তের লাউড়গড়, চাঁনপুর, টেকেরঘাট, বালিয়াঘাট, বীরেন্দ্র নগর
ও চারাগাঁও এলাকায় রয়েছে বিজিবির ক্যাম্প। আর এসব ক্যাম্পের সোর্স পরিচয়
দিয়ে কিছু সংখ্যক লোক চোরাচালানীদেরকে নিয়ে সিন্ডিকেড তৈরি করে
সরকারের লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে প্রতিদিন মদ, গাঁজা,
হেরুইন, ইয়াবা, কাঠ, কয়লা, পাথর, ঘোড়া ও গরু পাচাঁর করে। আর এসকল অবৈধ
মালামাল থেকে পুলিশ, বিজিবি ও সাংবাদিকসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নাম
ভাংগিয়ে সোর্সরা বিভিন্ন হারে চাঁদা উত্তোলন করছে। বিভিন্ন সময়
অভিযান চালিয়ে অবৈধ মালামাল আটক করা হলেও সোর্স পরিচয়ধারীদেরকে
কখনোই গ্রেফতার করা হয়না। একারণে সোর্স পরিচয়ধারীরা সারাবছর তাদের
চোরাচালান বাণিজ্য জমজামাট ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- প্রতিদিনের মতো আজ শুক্রবার (৪ জুন) ভোরে
বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী আমিনুল মিয়া, শহিদ মিয়া, নুরু মিয়া,
নবীকুল মিয়া গং উপজেলার লাউড়গড় সীমান্তের ১২০৬নং পিলার সংলগ্ন এলাকা
দিয়ে ভারত থেকে ১০টি গরু ও বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্যসহ বিড়ি পাচাঁর করে।
এসব মালামালের মধ্য থেকে ৪টি গরু শিমুলতলা গ্রামের চোরাকারবারী শাহিবুর
রহমানের কাছে বিক্রি করে। এই খবর পেয়ে বিজিবি অভিযান চালিয়ে মনাইপাড়
এলাকা থেকে ১লক্ষ ৯৫হাজার টাকা মূল্যের ৪ টি ভারতীয় অবৈধ গরু আটক করে। আর
মুকশেদপুর নামক স্থান থেকে ২২হাজার ১০০টাকা মূল্যের ১৩ হাজার পিস অবৈধ
ভারতীয় নাসির উদ্দিন বিড়ি জব্দ করে। কিন্তু সোর্স পরিচয়ধারী ও চোরাকারবারীকে
গ্রেফতার করতে পারেনি।
অপরিদিকে সকাল সাড়ে ৮টায় পাশর্^বর্তী টেকেরঘাট সীমান্ত দিয়ে সোর্স
পরিচয়ধারী ইসাক মিয়া ও কামাল মিয়া ভারত থেকে বিপুল পরিমান মদ ও কয়লা
পাচাঁর করে। এঘটনার খবর পেয়ে সীমান্তের ১১৯৯ এর ৪ এস পিলার সংলগ্ন
ভুরুঙ্গাছড়া নামকস্থান থেকে ১১ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ করে। যার মূল্য ১৬ হাজার
৫শত টাকা। কিন্তু সোর্স পরিচয়ধারীদেরকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে জানা
গেছে।
এব্যাপারে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক তসলিম এহসান
সাংবাদিকদের বলেন- জব্দকৃত অবৈধ মালামাল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ে জমা
দেওয়া হবে। সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত
থাকবে।