,


শিরোনাম:
«» তুরাগে গৃহবধু হত্যার অভিযোগে স্বামীর বন্ধু গ্রেফতার «» ভাড়া বাসায় অবস্থান করে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতী করতো তারা’ «» ঈশ্বরদীতে ২০০ লিটার মদসহ গ্রেফতার ১ «» ঈশ্বরদীতে নবজাতক হত্যার অভিযোগ সাবেক স্বাস্থ্যকর্মীর আকলিমার বিরুদ্ধে «» সাংবাদিকতার দায় একমাত্র জনসাধারণের কাছে:তিতুমীর «» ঈশ্বরদীতে প্রণোদনার সার-বীজ প্রদানে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ প্রকৃত কৃষকদের «» ঈশ্বরদীতে বালু খেকোদের কবলে বিলিন হাজার হেক্টর ফসলি জমি, দিশেহারা কৃষক «» ঠাকুরগাঁওয়ে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পালিত র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত «» চাঁপাইনবাবগঞ্জ সাবেক এমপি ও জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসভবনে হামলা «» চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষকলীগের অনুষ্ঠানে সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা মিনহাজ আহত

পাবনার চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটিতঃদুই হত্যাকারী গ্রেপ্তার

ঈশ্বরদী প্রতিনিধি: একদিনেই চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ মুক্তি হত্যা রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে দুই হত্যাকারী। বাকিরা গ্রেফতার হাওয়ার পথে। ইতিমধ্যেই গৃহবধূ মুক্তি খাতুন রিতা (২৭) হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত দুই হত্যাকারী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রেরণ করেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় পাবনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী-২ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল ইসলাম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এই আসামিদের মধ্যে রয়েছেন নাটোর বড়াইগ্রাম উপজেলার চর গোবিন্দপুর গ্রামের মাহাবুল সরকারের পুত্র শরিফ সরকার (২১)এবং একই গ্রামের কামাল সরদারের পুত্র হেলাল (১৭) ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান আসাদ শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) রাতে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওসি জানান, বৃহস্পতিবার হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ার পর দুপুরে ই হত্যার রহস্য, হত্যাকারী চিহ্নিত এবং তাদের গ্রেফতারে পুলিশ মাঠে নামে নিহতের শ্বাশুড়ির দেওয়া অস্পষ্ট তথ্য এবং ভিকটিমের মোবাইলের কল লিস্ট ধরে রাতেই মূল বড়াইগ্রাম থানার চর গোবিন্দপুর গ্রামের সাদেক সরকারের পুত্র সাব্বির সরকার ২৭ , শরিফ ও হেলাল কে গ্রেফতার সমর্থ হয়। থানায় জিজ্ঞাসাবাদে এবং প্রাথমিক তদন্তে হত্যা কাণ্ডের চারজনের সম্পৃক্ততার বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিত হওয়া গেছে।এদের মধ্যে শরীফ ও হেলাল শুক্রবার সন্ধ্যায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও আরো বৃহত্তর তদন্তের স্বার্থে সাব্বিরকে থানা হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।আজ শনিবার তাকেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানের জন্য আদালতে প্রেরণ করা হবে। আরেক আসামি গ্রেফতারের পুলিশি তৎপরতার পাশাপাশি হত্যাকান্ডের কারো ইন্ধন বা প্ররোচনা আছে কিনা এসব বিষয়ে তদন্ত চলছে। তিনি আরো জানান ,রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের চাকরি দেওয়ার জন্য টাকা লেনদেনের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। নিহত গৃহবধূ মুক্তি খাতুন তার স্বামী বায়োজিদ সারোয়ার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বাংলা পাওয়ার কোম্পানিতে চাকরি করেন ।তিনি অর্থের বিনিময়ে মানুষকে চাকরি দিতেন। নিহত গৃহবধূ মুক্তি মাধ্যমে চাকরি প্রার্থী যোগাড় ও টাকা লেনদেন হতো বলে জানা গেছে। থানায় জিজ্ঞাসাবাদ ও জবানবন্দি বর্ণনা দিয়ে সূত্র জানায়, মুক্তি স্বামী বায়োজিদের নানার বাড়ির এলাকার সাব্বিরকে ৪০- ৪৫ হাজার টাকা বেতন চাকরি দেওয়ার জন্য বেশকিছু টাকা নেওয়া হয়। এছাড়াও ওই এলাকার আরো কয়েকজনকে যোগাড় করে এনে চাকরির জন্য টাকা দেয়। কিন্তু সাব্বিরকে উল্লেখিত বেতনের চাকরী না দিয়ে ক্লিনারের চাকরি দেওয়া হয়। যার বেতন ১২-১৫ হাজার টাকা ।এতে সাব্বির ক্ষিপ্ত হয়ে টাকা ফেরত বা বেশি বেতনের চাকরি দাবি করে ।এই সব টাকা পয়সার লেনদেন নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে তাদের মধ্যে ঝামেলা চলছিল ।এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার সাব্বির আরো কয়েকজন চাকরি প্রার্থী নিয়ে হাজির হয়ে গৃহবধূ মুক্তিকে গলা কেটে হত্যা করে। এসময় শাশুড়িকেও শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করা হয় ।এই হত্যাকান্ড পূর্বপরিকল্পিত জানিয়ে এই জানিয়ে এই সূত্র জানান, সাব্বির হত্যার উদ্দেশ্যেই ছুরি সাথে করে এনেছিলেন। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ঈশ্বরদী শহরের মুশুরিয়া পাড়া নিজ বাড়ির শয়ন কক্ষে মুক্তিকে গলাকেটে হত্যা করা হয় ।পরে পাশের ঘরের গৃহবধূর শাশুড়ি নীলিমা খাতুন কোরআন শরীফ পড়া অবস্থায় হত্যাকারীরা হঠাৎ তার ঘরে ঢুকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় তিনি চিৎকার শুরু করলে হত্যাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তিনি পুত্রবধূর ঘরে গিয়ে গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে এবং থানায় খবর দেয়। পরে গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।
ঘোষনাঃ