মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া- সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের ধোপাজান ও চলতি নদীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ২০ হাজার ঘনফুট
বালু ও ৫ শত ঘনফুট পাথরসহ ২৫টি নৌকা আটক করা হয়েছে।
অভিযানের সময় বাঁধা দেওয়া ১জনকে ১মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে
ভ্রাম্যমান আদালত। দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম- করম আলী। সে জেলার বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার
কালীপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়- পাশর্^বর্তী যাদুকাটা নদীর মতো ধোপাজান ও চলতি
নদীর তীর কেটে ও পাথর কোয়ারী তৈরি করে দীর্ঘদিন যাবত বালি ও পাথর উত্তোলন করে
বিক্রি করছে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। সরকারের লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে
যাদুকাটা, ধোপাজান ও চলতি নদীর বালি ও পাথর খেকোরা রাতারাতি হয়েগেছে
কোটিপতি। কিন্তু তারা এখনও পর্যন্ত আইনের আওতায় আসেনি। তবে পরিবেশ রক্ষা
ও নদী ভাঙ্গন থেকে এলাকা অসহায় মানুষদের ঘরবাড়ি রক্ষা করার জন্য যাদুকাটা
নদীটি লিজ না দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে পৃথক ভাবে ডিও লেটার ও
আবেদন করেছেন সুনামগঞ্জ ১ আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন
রতন ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল। কিন্তু
একটি মহল যাদুকাটা নদীটি পক্রিয়া করার জন্য বিভিন্ন ভাবে অপতৎপরতা
চালিয়েছে বলে জানাগেছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পৃথক অভিযান পরিচালনা
করেন বিশ^ম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাদি উর রাহিম জাদিদ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল মোল্লা ও মোঃ
আরিফ আদনান, ওসি সুরঞ্জিত তালুকদার প্রমুখ।
সুনামগঞ্জে অবৈধ বালি ও পাথরসহ ২৫টি নৌকা আটক,১জনের কারাদন্ড

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।