সেলিম মাহবুব,ছাতকঃ ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল) নিয়ে ছাতক উপজেলার সর্বত্র চলছে জমজমাট জুয়া বাণিজ্য। খেলা চলাকালে জুয়ার নেশায় মেতে উঠেছে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, বেকার যুবক, রিক্সা-ভ্যান চালক, গাড়ীর স্টাফ, দোকান কর্মচারী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার লোকজন। খেলাটি ভারতের বিভিন্ন স্টেডিয়ামে হলেও ছাতকের পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকান, অফিস, বাসা-বাড়ি এমনকি যেখানেই টিভি সেখানেই চলছে বাজিধরা।এছাড়া স্মার্টফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে বেট৩৬৫ নামের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দেশে-বিদেশের বাজিকরদের সাথেও বাজি ধরে থাকেন এখানকার উঠতি বয়সী স্কুল কলেজগামী ছাত্ররা। ফলে এসব জুয়াড়িরা অনেকটাই থেকে যাচ্ছে প্রশাসনের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। মোবাইল ও ইন্টারনেট টিভি দেখে সহপাঠিদের সাথে ফোন, হোয়াটস্আপ, ইমু ও ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে খেলার হারা-জেতার উপর বিভিন্ন অংকের টাকা বাজি ধরা হয়। এসবে একজন কে টাকা রাখার জন্য ম্যানেজার নিয়োগ করা হয়। তার মাধ্যমে সব ম্যান্টিন হয়। কোন খেলোয়াড় বেশি রান করবে, কোন বোলার বেশি উইকেট পাবে, কোন ব্যাটস্ ম্যান বেশি ছক্কা মারবে, কে বেশি চার মারবে, কোন বলে চার বা ছয় হবে এসবের উপর প্রতি মুহুর্তেই চলছে বাজিধরা। এভাবে উপজেলার প্রতিটি হাট-বাজার ও প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল ক্রিকেট জুয়ায় ভাসছে। ফলে ক্রিকেট জুয়ার ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ যুবসমাজ।খেলা শুরু হওয়ার পর থেকে এই বাজি ১শ’ থেকে শুরু হয়ে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত ধরা হচ্ছে। কেবল ম্যাচে হারজিত নিয়েই বাজি নয়, প্রতি ওভারে ওভারে এমনকি বলে বলে বাজি ধরছেন ছোট-বড় বাজিকররা। এতে করে প্রতিদিনই প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বাজিকরের দল। জানা যায়, ১৩ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত উপজেলার সর্বত্রই এখন আইপিএলসহ ক্রিকেটকে কেন্দ্র করে জুয়া খেলায় ধ্বংস হচ্ছে যুবসমাজ। পৌর শহরের ট্রাফিক পয়েন্ট, কোর্ট রাস্তা, মিনি মার্কেট, মোগলপাড়া, মন্ডলীভোগ, চন্দ্রনাথ বালিকা বিদ্যালয় রোড, মধ্যবাজার, নোয়ারাই, রেল কলোনী, লাফার্জ বাজার, ওয়াপদার সম্মূখ, হাসপাতাল রোড, আকিজ বাজার, পোষ্ট অফিসের সম্মূখসহ থানা, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আশপাশের চায়ের দোকান, গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্ট, গোবিন্দগঞ্জ বাজার, জাউয়া বাজার, দোলারবাজার, কালারুকা বাজারসহ প্রায় সবকটি বাজারও পয়েন্টে আইপিএল খেলার প্রতি ওভারে রানের উপর ও উইকেটের উপরও বলে বলে ধরা হচ্ছে টাকার বাজি। এভাবে উপজেলার প্রতিটি হাট-বাজার ও প্রত্যন্ত এলাকায় এ খেলা চলছে।##
