ক্রাইম নিউজ ঢাকা,ডেক্সঃ রাজধানীর উত্তরার আব্দুল্লাহপুরে ফুটপাত ও অস্থায়ী কাঁচামালের দোকান সহ বিভিন্ন হকারদের কাছে থেকে প্রকাশ্যে চাঁদা তুলছে পুলিশের সহযোগীতায় মোঃ আইয়ুব ২৫ নামক এক চাঁদাবাজ। ফুটপাতের চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন দোকান থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর লাইনম্যান মোঃ আইয়ুব কে দিয়ে উঠানো হয় চাঁদা দোকান প্রতি ৪০০শ’ থেকে ৬০০শ’ টাকা দিতে হয়।বলে জানান হকাররা, টাকা দিতে অমত প্রকাশ করলে পকেট চেক করে একপর্যায়ে টাকা আদায় করে চাঁদাবাজ আইয়ুব। কিছু বলতে গেলেই আসে পুলিশের সহযোগীতার হাত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানদার জানান, প্রতিদিন সন্ধ্যায় আইয়ুব নামক এই ব্যক্তি আসে টাকার জন্য, তিনি আরো বলেন রাস্তায় দোকান করলে যেমন চাঁদা দাবি করেন দোকান না করলেও চাঁদা দিতে হয়। অন্যদিকে রয়েছে আব্দুল্লাহপুর উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ চেকপোস্ট।
আর এই চেকপোস্টের গোপনে রয়েছে আব্দুল্লাহপুর রাস্তার পূর্ব পাশে কাটপট্রির ভেতরে একটি টর্চার সেল।যেখানে চেকপোস্টে আটককৃত ব্যক্তিদের নিয়ে যাওয়া হয়। গত ১৯/০২/২০২১/ রোজ শুক্রবার বিকেলে চোখে পড়ে জোর করে একজন মোটরসাইকেল আরোহীকে গাড়ি থেকে নামিয়ে এক পর্যায়ে টর্চার সেলের দিকে নিয়ে যেতে দেখা যায়। তাদের পিছনে অনুসরণ করে ক্রাইম নিউজ ঢাকার অনুসন্ধানী টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় এস আই আরাফাতের সাথে আটককৃত ব্যক্তি কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে। কথার একপর্যায়ে এস আই আরাফাত বলে উঠে কাহারো সাথে কোন প্রকার কথা না বলে সোজাসাপ্টা গিয়ে গাড়িতে উঠেন আটকের একপর্যায়ে ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দিলে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বলার চেষ্টা করলে ওই ব্যক্তি আতংকিত হয়ে তাড়াতাড়ি স্থান ত্যাগ করেন।
এবিষয়ে এস আই আরাফাতের মুঠোফোনের মাধ্যমে ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন। তেমন কোন ঘটনা ঘটেনি সন্দেহ জনক ভাবে আটক করা হয়েছে,আটকের পর জানতে পারি তিনি একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা। আইয়ুবের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে এস আই আরাফাত বলেন আইয়ুব আমাদের ছোট ভাই তাই আমাদের সাথে থেকে পুলিশকে সহযোগিতা করে। টর্চার সেল এর বিষয়ে এস আই আরাফাতের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিককে হুমকি প্রধান করে আইয়ুব নামক চাঁদাবাজকেও চিনি না বলে, কথার একপর্যায়ে বলে উঠে সোজাসাপ্টা আমার পিছনে লাগতে এসো না ভালো হবে না বলে ফোন কেটে দেন। কিন্তু সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় এই আইয়ুব উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশের সোর্স সহ এস আই আরাফাতের সাথে সব সময় আব্দুল্লাহপুর চেকপোস্ট করা সহ বিভিন্ন দোকান পাটে চাঁদাবাজী করে আসছে।এবিষয়ে উত্তরা পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।।( পর্ব ১) অনুসন্ধান চলমান।