শিব ব্রত,ফেনীঃটামাডল মুলত ব্যথা নাশক ট্যাবলেট।এনাডল,টাপেন্ডাডল,পেন্টাডল, ডাইক্লোপেন সহ আরো বিভিন্ন ব্যথা নাশক ট্যাবলেট বাজারজাত করে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানী। কিন্তু মাদকাসক্তরা এটিকে মাদকের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করে। হেরোইন ও ইয়াবার দাম বেশি হওয়ায় স্বল্প মূল্যের এ ট্যাবলেট বেছে নিয়েছে তারা। পরশুরাম সহ ফেনী জেলার সর্বত্র এ নেশার ট্যাবলেট বিক্রি হচ্ছে অবাধে।এই ট্যাবলেট বিনা প্রেসক্রিপশনে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে।
জানা যায়,এই জাতীয় ব্যথা নাশক ট্যাবলেটকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের তফসিল ভুক্ত হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। এছাড়া ও এই জাতীয় ট্যাবলেট ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে নির্দিষ্ট ফার্মেসিতে বিক্রি সহ প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা এ খবর শুনে বিপুল পরিমাণ ট্যাবলেট মজুদ করে অবাধে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়, উপজেলার সুবারবাজার রোডে অবস্থিত ফার্মেসি,সুবারবাজার, গুথুমা নতুন বাজার,বাশপদুয়া ও ধনীকুন্ডাসহ বিভিন্ন এলাকার ফার্মেসিতে হাতের নাগালে পাওয়া যাচ্ছে এজাতীয় ট্যাবলেট।আর বিনা প্রেসক্রিপশনে কিনে নিয়ে যাচ্ছে মাদক সেবিরা। ১৮,১০ও ৫ টাকা মূল্যের প্রতি ট্যাবলেট বিক্রি হচ্ছে একশ বা ততোধিক টাকায়।
এদিকে নেশার টাকা সংগ্রহ করতে পরশুরামে বেড়ে গেছে চুরি ও নানাধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ। উপজেলার পূর্ব কোলাপাড়া গ্রামের হাসিনা আক্তার বলেন, আমি মানুষের বাড়ি কাজ করে খাই। স্বামী নেই। আমার একমাত্র ছেলে নেশা করে। আগে গাঁজা খেতো।এখন কিসের জানি ট্যাবলেট আছে তা খায়। ট্যাবলেট কেনার টাকা না পেলে আমার গলায় ছুরি ধরে, অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে, ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে।
এলাকার সচেতন লোকেরা বলেন, হাতের নাগালে এ ধরনের ট্যাবলেট ও নেশা জাতীয় জিনিস পেয়ে এলাকার উঠতি বয়সের অধিকাংশ ছেলে নেশায় জড়িয়ে পড়েছে। এলাকায় চুরি বেড়ে গেছে। প্রশাসনকে এদিকে নজর দেওয়ার ও অনুরোধ করেন তারা।
ফেনী ঔষধ প্রশাসন অফিস সূত্র জানায়,এ ধরনের ঔষধ শুধু হাসপাতাল ও ক্লিনিক সংলগ্ন ফার্মেসিতে রাখার অনুমতি আছে।এ বিষয়ে পরশুরামে এখনো অভিযান চালানো হয় নি। তবে অভিযোগ পেলে অবশ্যই অভিযান চালানো হবে।
এ ব্যাপারে পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা দত্তের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “দেখবো” ।