,


শিরোনাম:
«» উত্তরা তুরাগে ঢালায় সাজিয়ে রাখা পন্যের মতোই বিক্রি হচ্ছে মাদক দ্রব্য «» সেক্টরের সড়কে বিশাল গর্তে পড়ে আছে গরিবের আয়ের উৎস রিকশা «» শাহজালালে ৩৫১৮ পিস ইয়াবাসহ এক যাত্রী আটক «» ঢাকা ১৮ আসনে দয়াল কুমার বড়ুয়ার ঈদ উপহার বিতরণ। «» আব্দুল্লাহপুরে ময়মনসিংহের অবৈধ বাস কাউন্টারে যাত্রী হয়রানি ও মারধর অভিযোগ উঠেছে। «» জামালপুরে সাংবাদিক নাদিম হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে উত্তরা প্রেস ক্লাব। «» আব্দুল্লাহপুর টি আই’র লাঠির আঘাতে পরিবহন শ্রমিকের কান্না। «» তুরাগে এক দশক ধরে মাদক ব্যবসা করা কদম গ্রেফতার। «» তুরাগে গৃহবধু হত্যার অভিযোগে স্বামীর বন্ধু গ্রেফতার «» ভাড়া বাসায় অবস্থান করে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতী করতো তারা’

“সি অব ট্রি” আত্মহত্যা করার বন!!!!!

প্রেম!,ক্রাইম নিউজ ঢাকাঃ জাপানে “সি অব ট্রি” নামে একটি বন রয়েছে। যেখানে কিছুদূর হাটলেই দেখতে পাবেন মানুষের কঙ্কাল ঝুলছেে গাছের ডালে ডালে। আপনি হাটতে থাকলে হয়তবা পড়ে যেতে পারেন কঙ্কালের সাথে আটকে গিয়ে।এই বনের ভিতরে প্রবেশ করলে পঁচা গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসবে। কিন্তু যারা আসে তাদের অধিকাংশই আসে আত্যহত্যা করার জন্য। প্রতি বছর এখানে প্রচুর পরিমানে মানুষ সুইসাইড করতে আসে।যারফলে এই বনকে আত্মহত্যা করার বন বলা হয়ে থাকে। ২০০৩ সালে এই বনে ১০৫টি মৃতদেহ পাওয়া যায়। ২০১০ সালে পুলিশ এই বনে ২০০জনকে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করতে দেখে। এর মধ্যে ৫৪ জন কর্মটি করে ওপারে চলে যান।আর বাকিদের পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে,তাদের মধ্যে অধিকাংশই ভুগছিলেন হতাশায় ও আত্যবিশ্বাসের অভাবে।আবার কেউ কেউ অভিমানের বসেও করতে চান আত্যহত্যা।এদের প্রায় 70 থেকে 80 শতাংশই হলেন 17 থেকে 32 বছর বয়সী, 10 শতাংশ 35 থেকে 48 বছর এবং বাকি 10 শতাংশ হলেন 55 বছরের উপরে।বয়স্ক এক দম্পতির কাছে আত্যহত্যার চেষ্টার কারন জানতে চাইলে তারা জানায় সন্তানদের অবহেলার কারণে তারা সন্তানদের উপর অভিমান করে আত্যহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। সম্প্রতি এই বনে কতোজন এইসব কর্ম করে বেড়ান সে খবর পুলিশ লোকজনদের দেন না কারণ তারা মনে করেন এতে করে কর্মটির সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে। কেউ কেউ অনেক দূর দেশ থেকে টাকা খরচ করে মরতে আসে এই বনে। মানুষ নিরিবিলিতে মারা যেতে পছন্দ করেন।এই জায়গাটেকেই মৃত্যুর জন্য বেছে নেয় কেন জানেন? যেন কেউ কখনো খুঁজে না পায়। মানুষ বড় অভিমানী প্রাণী! মনোবিজ্ঞানীরা এখন বলছে প্রতিটি সুইসাইডের রক্তে তিনটি এলিমেন্ট মিশে থাকে-

১/ অভিমান।

২/ হতাশা।

৩/ আত্মবিশ্বাসের অভাব।

আত্যহত্যার পরিমন বাংলাদেশেও কম নয়। বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী প্রতি বছর বাংলাদেশে সুইসাইড করছে প্রায় দশ হাজার। অর্থাৎ গড়ে প্রতিদিন ২৭ জন! প্রতি ঘণ্টায় ১ জনের বেশি সুইসাইড করছে এই টুকু একটা দেশে !!! এত অভিমানী মানুষ ?এই ব্যাপার গুলো কেন ঘটে ? সাধারণত মানুষ একটি বিশেষ ঘটনায় সুইসাইড করে না। তার ভিতরে লুকিয়ে থাকে অসহ্য যন্ত্রণা। এই যন্ত্রণাটি সে তার ভেতরে অনেক দিন থেকে লালন করে। মানুষের অনুভূতি অনেক বেশি। প্রতিটি মানুষ একজন লেখক,একজন গায়ক,একজন কবি,একজন নেতা। এই পৃথিবীতে আপনার উপস্থিতি অনেক বেশি প্রয়োজন। অভিমান করে চলে যাবার জন্য আপনার জন্ম হয় নি। আপনাকে বেচে থাকতে হবে নিজের জন্য,পরিবারের জন্য, সমাজের জন্য,দেশের জন্য এবং এই পৃথিবীর জন্য। চলবে……..,

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।
ঘোষনাঃ