ক্রাইম রিপোর্টার পাবনাঃ নাটোর ও পাবনা জেলার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আসাদুল এখনো বীর দর্পে মাদক ব্যাবসা পরিচালনা করে যাচেছ। প্রশাসনিক কোন ব্যাবস্হা না থাকায় দুই জেলার দুই থানার মানুষ উদ্ধেগ উৎকণ্ঠা ও হতাশা হয়ে পড়ছে। পাবনার ঈশ্বরদী থানা ও নাটোরের লালপুর থানার সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, দুই থানার বিভিন্ন স্থানে মাদক বিক্রির বড় ধরনের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে এই মাদক ব্যবসায়ী আসাদুল (৩৫) তার পিতার নাম মরহুম আক্কাছ আলী । সে দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধপথে ভারত থেকে আসা ফেনসিডিল, ইয়াবা, সহ এমন কোন মাদক নাই যে সে সরবরাহ করে না। তার মাদক বিক্রির ধরন অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ীর চেয়ে ভিন্নতা রয়েছে। সুত্র মতে আমাদের অনুসন্ধানে উঠে আসে মাদক সম্রাট আসাদুল ভারতের বিভিন্ন বর্ডার থেকে ফেনসিডিল বিভিন্ন পন্থায় নিয়ে আসে ।তার সাথে সাথে চট্টগ্রাম থেকে আসা বিভিন্ন ট্রাকের ডাইভারদের হাত করে মোটা অংকের ইয়াবা চালান নিয়ে আসে বলে আমাদের একাধিক সূত্র জানায় । এগুলো ঈশ্বরদী ও লালপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় খুচরা বিক্রেতা দের হাতে পৌঁছে দেয়। মাদক পৌঁছে দেয়ার কৌশল হিসেবে ব্যাবহার করা হয় উঠতি বয়সের হত দরিদ্র পরিবারের রিক্সাচালক ছেলেদের। অপরদিকে তার এই মাদক সাপ্লাইয়ের ডাল হিসেবে অনেক সময় ব্যাবহার করে ক্ষমতাশীল দলের যুবলীগ কতিপয় কর্মীদের। এমনকি নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই মাদক ব্যবসায়ীর ছত্রছায়ায় থাকা একজন আমাদের অনুসন্ধানী টিমের কাছে দেয়া তথ্যে জানিয়েছেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দুএকজন অসৎ কর্মকর্তা রয়েছেন। যারা কিনা মাসিক মাসোহারার বিনিময়ে এই মাদক ব্যবসায়ী আসাদুল কে সহযোগিতা করে থাকেন।যার ফলে পুলিশ গ্রেফতার করতে অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হচ্ছেন। এছাড়া এই মাদকের গডফাদার দীর্ঘদিনের মাদক ব্যাবসায়ীর অন্তরালে ইতিমধ্যে নাটোর জেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অতি সম্প্রতি তার নিজস্ব ঘর থেকে ফেনসিডিলসহ তার স্ত্রী ও মাতাকে আটক করে। তার স্ত্রী কে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া হয় বলে তার স্ত্রী একথা অকপটে স্বীকার করেছেন। তবে ঐ মামলায় মাদকের এই গডফাদার তার মাতা আরিফা বেগম কে ১নাম্বার আসামী করে এই মাদক ব্যবসায়ী কে পলাতক আসামি দেখিয়ে লালপুর থানায় একটি মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে করে লালপুর থানায় দুটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। অপরদিকে গত ২৬ শে সেপ্টেম্বর২০১৯ সালে ঈশ্বরদী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ঈশ্বরদী সার্কেল ,মাদক সহ হাতেনাতে আটক করে একটি মামলা দায়ের করেন। যাহা বিচারাধীন রয়েছে। সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে কয় বছরে প্রায় ১০/১২ টি মামলা চলমান রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে প্রকাশ। তাছাড়া এই মাদক সম্রাট মরহুম আক্কাছ আলীর পুত্র আসাদুল সুদীর্ঘ দিন যাবৎ মাদক ব্যাবসা করে নাটোরের লালপুর থানার রুইগাড়ী গ্রামে ইতিমধ্যেই বড় ধরনের ফ্লাট বাড়ী ঘড়ে তুলেছে। এই মাদক ব্যাবসায়ীর কাছে থেকে যারা প্রাইকারী মাদক নিয়ে থাকে তাদের বেশ ক’জন ছিচকে খুচরা বিক্রেতা ইতিমধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে আটক হলেও রহস্যময় কারনে এই মাদকের গডফাদার কে আটক করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। নাটোরের লালপুর ও পাবনার ঈশ্বরদী থানার গ্রাম গঞ্জের বিভিন্ন মহলের লোকজনের সঙ্গে এই মাদক ব্যবসায়ীর গডফাদার আসাদুল এর সংক্রান্ত কথা বললে তাদের বেশির ভাগই বলেন , সরকার যেখানে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। মাদক জিরো টলারেন্স করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন । সেখানে এই মাদক ব্যাবসায়ী কি করে তার এই অবৈধ মাদক ব্যাবসা পরিচালনা করেন। বিষয়টি প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরদারি জরুরি বলে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো জানান। উল্লেখ্য এই মাদকের গডফাদার তার মাদক ব্যাবসা পরিচালনা ক্ষেত্রে কৌশল অবলম্বন করে চলাফেরা করে থাকে তার কয়েকটি পোষাকের নমুনা ছবি দেয়া হলো । উল্লেখ্য এই মাদক সম্রাটের কথিত আপন ভাইরা ভাই ঈশ্বরদী পূর্ব নূরমহল্লা বস্তি পাড়া এলাকায় বসবাসকারী মৃত বাদশা মিয়ার পুত্র নাটা মাসুদ( ৩০) নামেও একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। অথচ সে বীর দর্পে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে একাধিক সূত্রে জানা যায়।
নাটোর ও পাবনা জেলার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীর বীরদর্পে মাদক ব্যাবসা পরিচালনা
ক্রাইম নিউজ ঢাকা
April, 12, 2021, 6:15 pm
অন্যান্য, অপরাধ, আইন-আদালত, এক্সক্লুসিভ, জাতীয়, বিভাগীয় খবর, সারাদেশ |
327 Views

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।