শিব ব্রত,ফেনীঃ
টানা এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণার খবরে পরশুরামে রোববার সকাল থেকেই ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কোথায় ও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে পারে এমন শংকায় লোকজন হুমড়ি খেয়ে পড়েন হাটবাজারে। প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি বাজার খরচ ক্রয় করতে দেখা গেছে ক্রেতাদের।কেউ কেউ একসাথে এক সপ্তাহ বা পুরোমাসের কেনাকাটা সেরেছেন।এ সুযোগে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করেছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এতে বিপাকে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। এদিকে কেনাকাটা করতে আসা লোকজনের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো প্রবনতা দেখা যায়নি। ছিলনা অনেকের মুখে মাস্ক, কিন্তু স্হানীয় প্রশাসনের কঠোরনজরদারিতে প্রায় সবাই মুখে মাস্ক পড়ে বাজারে উঠছেন গত সোমবার থেকে।
এদিকে পরশুরাম সহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই মানুষ ভিড় করে কেনাকাটা করছেন। শনিবার যে পেঁয়াজের কেজি ছিল ২৮ টাকা রোববার তা বেড়ে ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।৫০ টাকার রসূন ৬০ টাকায়,আদা৬০-৮০টাকায় ১৫ টাকার আলু ২০-২৫ টাকায়, সয়াবিন তেলের দাম ও কেজি প্রতি বেড়েছে ৫টাকা। এছাড়া কাঁচামালের দাম ও বাড়িয়েছেন বিক্রেতারা।
অন্যদিকে ব্রয়লার, সোনালী ও দেশি মুরগির দাম ও বেড়েছে কেজি প্রতি ১০-১৫ টাকা।৫৫০ টাকার গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৬২০ টাকায়। বাজারে আসা মানুষজন জানায়, গতবছর করোনা কালে লকডাউনে বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গিয়েছিল। এবার ও সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে।তাই বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ার আশংকায় আগে ভাগেই বাজার করতে এসেছেন তারা। গত রোববার পরশুরামে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকে গিয়ে দেখা যায় সকাল থেকেই ব্যাংক থেকে
টাকা উত্তোলনে ব্যস্ত ছিলেন গ্রাহকরা।
এব্যাপারে পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাসরিন আক্তার জানান, আমারা এই করোনা কালীন সময়ে ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি করতে না পারে সেজন্য কঠোর নজরদারি করছি এবং সকল ব্যবসায়ীকে তাদের দোকানে দ্রব্য মূল্যের তালিকা প্রদর্শন করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।