ডেস্ক,ক্রইম নিউজ ঢাকাঃ দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পুনরায় বেড়ে যাওয়ার ফলে জরুরি সেবা-প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব অফিস ও কারখানা অর্ধেক জনবল দ্বারা পরিচালনা, উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানা, জন-সমাগম সীমিত করা,পরিবহনে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহনসহ ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এসব সিদ্ধান্ত এখন থেকে সারা দেশে কার্যকর হবে এবং আগামী দুই সপ্তাহ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস স্বাক্ষরিত এক এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। নির্দেশনাগুলো হলো—
১. সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়সহ যেকোনো উপলক্ষে সমাগম সীমিত করার কথা বলা হয়েছে। প্রয়োজনে উচ্চ সংক্রমণ এলাকায় সমাগম নিষিদ্ধ হবে।
২. মসজিদ,মন্দির সহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি পালন নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে।
৩. পর্যটন এরিয়া , বিনোদন কেন্দ্র, সিনেমা হল, থিয়েটার হলে সমাগম সীমিত করতে হবে এবং সব ধরনের মেলা আয়োজন নিরুৎসাহিত করা হবে।
৪. গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এমনকি ধারণক্ষমতার অর্ধেকের বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে না।
৫. সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আন্তঃজেলা যান চলাচল সীমিত করতে হবে, প্রয়োজনে বন্ধ ও করে রাখতে হবে।
৬. বিদেশফেরত যাত্রীদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত হবে।
৭. নিত্য-প্রয়োজনীয় দ্রব্য-সামগ্রী খোলা ও উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনা-বেচা করতে হবে।
৮. স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে।
৯. শপিং মলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানা বাধ্যতামূলক।
১০. দেশের সব মাদ্রাসা সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
১১. অপ্রয়োজনে রাত ১০টার পর ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না।
১২. প্রয়োজনে বাইরে গেলে স্বাস্থ্যবিধি সম্পূর্ণ মানতে হবে। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৩. করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বা করোনার লক্ষণ রয়েছে—এমন ব্যক্তির আইসোলেশন নিশ্চিত করতে হবে এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকা অন্যদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে।
১৪. জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান,শপিংমল, শিল্পকারখানা ৫০ শতাংশ লোকবল দিয়ে পরিচালনা করতে হবে। অন্তঃসত্ত্বা, অসুস্থ, ৫৫ বছরের অধিক বয়সী ব্যক্তিদের বাসায় থেকে কাজের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১৫. সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা যতটুকু সম্ভব অনলাইনে আয়োজন করতে হবে।
১৬. স-শরীরে উপস্থিত হতে হয়—এমন যেকোনো পরীক্ষার ক্ষেত্রে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
১৭. হোটেল এবং রেস্তোরাঁয় ধারণক্ষমতার অর্ধেক মানুষ প্রবেশ করতে পারবে।
১৮. কর্মক্ষেত্রে ও অবস্থানের পুরোটা সময়ই বাধ্যতামূলক ভাবে সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।