,


শিরোনাম:
«» তুরাগে গৃহবধু হত্যার অভিযোগে স্বামীর বন্ধু গ্রেফতার «» ভাড়া বাসায় অবস্থান করে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতী করতো তারা’ «» ঈশ্বরদীতে ২০০ লিটার মদসহ গ্রেফতার ১ «» ঈশ্বরদীতে নবজাতক হত্যার অভিযোগ সাবেক স্বাস্থ্যকর্মীর আকলিমার বিরুদ্ধে «» সাংবাদিকতার দায় একমাত্র জনসাধারণের কাছে:তিতুমীর «» ঈশ্বরদীতে প্রণোদনার সার-বীজ প্রদানে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ প্রকৃত কৃষকদের «» ঈশ্বরদীতে বালু খেকোদের কবলে বিলিন হাজার হেক্টর ফসলি জমি, দিশেহারা কৃষক «» ঠাকুরগাঁওয়ে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পালিত র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত «» চাঁপাইনবাবগঞ্জ সাবেক এমপি ও জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসভবনে হামলা «» চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষকলীগের অনুষ্ঠানে সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা মিনহাজ আহত

তুরাগে সন্ত্রাসী হামলা : ভাংচুর, লুটপাট , আহত-৫

এস,এম,মনির হোসেন জীবন : রাজধানী তুরাগের নয়ানগর গ্রামের মোল্লা বাড়ীতে স্থানীয় আয়ুবেদী (পল্লী চিকিৎসক) ও ফার্মেসীর মালিক মো: জাকির হোসেনের বাড়িতে স্থানীয় একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও বহিরাগতরা পূর্ব শত্রুতার জের হিসেবে অতর্কিত হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও তছনছ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় বাড়ির মালিক মো: জাকির হোসাইন (৪৫), তার স্ত্রী আকলিমা খাতুন (৩২), মেয়ে সাদিয়া হোসাইন (১৮) সহ কমপক্ষে ৫জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে জাকির হোসেন ও আকলিমার অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে স্থানীয় লোকজন ও তার পরিবারের সদস্যরা রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্বার করে টঙ্গীস্থ শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর ২টার দিকে তুরাগ থানার ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড নয়ানগর গ্রামের মোল্লাবাড়িতে এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী, এলাকাবাসি, পুলিশ ও আহত জাকির হোসেনের পরিবার সুত্রে জানা যায়, আজ বুধবার দুপুর আনুমানিক ২টার দিকে তুরাগ থানার ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড নয়ানগর গ্রামের মোল্লাবাড়িতে পরিবার পরিজন নিয়ে নিজ বাড়িতে দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করে আসছিল আয়ুবেদী চিকিৎসক মো: জাকির হোসাইন। নয়ানগর বাজারে জাকির মেডিক্যাল সেন্টার নামে তার একটি ওষুধের দোকান রয়েছে। এছাড়া সে ইয়াকিন মাল্টিপারপাস লিমিটেড নামক একটি সমিতির চেয়ারম্যান ও বটে। পূর্ব শত্রুতা,টাকা পয়সা নিয়ে বিরোধের জের ধরে একই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মো: সাদ্দাম মোল্লা (৩০) পিতা সোহরাব মোল্লা, সোহরাব মোল্লা (৫০) পিতা মৃত লাল মিয়া, হেলাল (৪৪),পিতা মো: মালেক হাওলাদার, তার ছেলে মো: হাসান (১৯) মো: বাপ্পু শিকদার (৩২) পিতা আবু শিকদার,ও মো: রফিকুল ইসলামসহ অঞ্জাত নামা ১০ থেকে ১৫জন স্থানীয় ও বহিরাগত একদল ভাড়াটে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা দলবদ্ব ভাবে মো: জাকির হোসাইনের নিজ বাড়িতে আজ দুপুরে অনাধিকারে প্রবেশ করে। এসময় হামলাকারী সন্ত্রাসী ও দুর্বৃত্তদের সকলের হাতে দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোটা, রাম দ্য, হকিস্ট্রিক, লোহার রড, ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা দলবল নিয়ে জাকির বাড়িতে গেলে একটি তুচছ ঘটনা ও সমিতিতে রাখা ইতোপূর্বে ৪৫ লাখ টাকার লভ্যাংশ হিসেবে পাওনা বাবদ ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা দেনা পাওয়া নিয়ে প্রথমে কথাকাটাকাটি ও বাকবিতন্ড হয়। এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে জাকির মেডিকেল সেন্টারের মালিক জাকির হোসাইন এর ওপর লাঠি সোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত ভাবে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এসময় জাকিরের স্ত্রী আকলিয়া খাতুন এগিয়ে গেলে তাকে ও পিটিয়ে ও শারীরিক ভাবে নাজেহাল এবং নির্যাতন করে মারাত্নক আহত করা হয়। পরে খবর পেয়ে জাকির হোসাইনের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে সাদিয়া হোসাইন (১৮) এগিয়ে গেলে সাদ্দাম মোল্লা,সোহবার মোল্লা, হেলাল ও হাসানের নেতৃত্বে তাদের সহযোগিরা তাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে বলে অভিযোগ করা হয়। ভুক্তভোগী ও সন্ত্রাসী হামলার শিকার আয়ুবেদী চিকিৎসক মো: জাকির হোসাইন অভিযোগ করে বলেন, পূর্ব শত্রুতা,একটি তুচছ ঘটনা ও সমিতির লভ্যাংশের পাওনা টাকা পরিশোধকে কেন্দ্র করে সাদ্দাম মোল্লা,সোহবার মোল্লা, হেলাল, ও হাসান,বাপ্পু শিকদারের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জনের একদল বহিরাগত সন্ত্রাসী আমার বাড়িতে ঢুকে হামলা,ভাংচুর, লুটপাট, তছনছ চালিয়ে নগদ টাকা, ১৪ খেকে ১৫ ভরি স্বর্ণলংকার, দামী জিনিসপত্র সহ প্রায় ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। জাকির হোসাইন আরও জানান,যাবার বেলায় সন্ত্রাসীরা আমার কাছে সমিতির লভ্যাংশ হিসেবে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা দাবী করে। ইতোপূর্বে তাদের পাওনা মোট ৪৫ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া গত ৭ থেকে ৮ মাস ধরে দৈনিক লভ্যাংশের এক হাজার করে টাকা আমার স্ত্রী আকলিমা খাতুন পরিশোধ করে আসছিল বলে তিনি দাবি করেন। তার মধ্যে সোহরাব মোল্লা হলো তুরাগ থানা আওয়ামীলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক। তিনি এখন দলীয় প্রভাব ও ক্ষমতা দাপট দেখাচেছন বলে অভিযোগ করে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। জানা গেছে, জাকির হোসাইনের পিতার নাম মৃত সেকান্দার আলী। মাতা উম্মে কুলসুম। ভোলা জেলা বোরহান উদ্দিন থানার লক্ষীপুর গ্রামে তার জন্ম। দূর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ধরে সে তুরাগের নয়াগর গ্রামে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিল। হামলার শিকার জাকিরের মেয়ে এইচ এস সি পাস শিক্ষার্থী সাদিয়া হোসাইন অভিযোগ করে জানান, আমি, আমার পিতা -মাসহ একই পরিবারের তিন সদস্য হামলার শিকার হয়েছি। পরিকল্পিত ভাবে আমাদের বাড়িতে হামলা করেছে সন্ত্রাসী ও চাদাবাজরা। আমার মা ও আমাকে শারীরিক ভাবে নাজেহাল ও নির্যাতন করা হয়েছে। আমি বর্তমান সরকার প্রধান ও প্রশাসনের কাছে এর ঘটনাটি সঠিক তদন্ত করে ন্যায় বিচার দাবি করছি। প্রয়োজনে আমরা আইনের আশ্রয় নিবো। তিনি আরও জানান, আমি ও আমার বড় ভাই আবিদ হোসাইন বিষয়টি নিয়ে তুরাগ থানায় গেলে থানার এক নারী ডিউটি অফিসার আমাদেরকে বলেন, আপনারা টঙ্গী সরকারী হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা করিয়ে নিয়ে আসেন। এরপর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যাবে বলে আশ্বাস দেয়া হয় ভুক্তভোগী পরিবারকে। এবিষয়ে প্রতিপক্ষ গ্রুপের অভিযুক্ত মো: সাদ্দাম মোল্লা, সোহরাব মোল্লা, হেলালসহ অন্যদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এদিকে, একটি সুত্র জানান, উল্টো তারা ভুক্তভোগী জাকির হোসাইন পরিবারের বিরুদ্বে মামলা দিতে তুরাগ থানায় অবস্থান করছেন। সরকার দলীয় নেতাদের শেল্ডার নিয়ে তারা থানা পুলিশের পিছু ধারে ধারে ঘুরে বেড়াচেছন। এবিষয়ে তুরাগ থানা পুলিশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ বলছে,উভয় পক্ষের লোকজন থানায় এসেছেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।
ঘোষনাঃ