,


শিরোনাম:
«» তুরাগে গৃহবধু হত্যার অভিযোগে স্বামীর বন্ধু গ্রেফতার «» ভাড়া বাসায় অবস্থান করে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতী করতো তারা’ «» ঈশ্বরদীতে ২০০ লিটার মদসহ গ্রেফতার ১ «» ঈশ্বরদীতে নবজাতক হত্যার অভিযোগ সাবেক স্বাস্থ্যকর্মীর আকলিমার বিরুদ্ধে «» সাংবাদিকতার দায় একমাত্র জনসাধারণের কাছে:তিতুমীর «» ঈশ্বরদীতে প্রণোদনার সার-বীজ প্রদানে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ প্রকৃত কৃষকদের «» ঈশ্বরদীতে বালু খেকোদের কবলে বিলিন হাজার হেক্টর ফসলি জমি, দিশেহারা কৃষক «» ঠাকুরগাঁওয়ে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পালিত র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত «» চাঁপাইনবাবগঞ্জ সাবেক এমপি ও জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসভবনে হামলা «» চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষকলীগের অনুষ্ঠানে সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা মিনহাজ আহত

পরশুরাম ভুমি অফিস দালালের দৌরাত্ম্যে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষঃউৎকোচ ছাড়া খারিজ হয়না

শিব ব্রতঃ মধ্যস্বত্বভোগী দালালের দৌরাত্ম্যের কারণে  পরশুরাম উপজেলা ভুমি অফিস থেকে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না পরশুরামের মানুষ। এই ভুমি অফিসে  দালালরা এক ধরনের সিন্ডিকেট তৈরি করে রেখেছে। সেবা প্রত্যাশী নাগরিকরা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করার মত কোন প্রকার সুযোগ ই পাচ্ছেন না। ওইসব দালালের সাথে এক শ্রেণীর অসাধু  কর্মকর্তা _কর্মচারীদের যোগসাজশ রয়েছে। দুদক কর্তৃক পরিচালিত হট লাইনে ও এধরনের অভিযোগ যাচ্ছে অহরহ, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
পরশুরামের ভুমি অফিসে ঘুষ না দিলে মেলে না   ভুমির নামজারির খতিয়ান। ওই অফিসে কেউ জমির নামজারির কাজ সম্পাদন করতে হলে ওই লোককে ব্যয় করতে হয় মোটা অংকের টাকা। সেবা প্রত্যাশী নাগরিকদের জিম্মি করে একটি জমা খারিজ বাবদ হাতিয়ে নেয় ১০ থাকে ১৫ হাজার টাকা। তারপর ওই সেবা প্রত্যাশী নাগরিকদের চলে যথাক্রমে ৫,৬,৯ মাস বা ১বৎসর বা তদূর্ধ্ব সময়  ধরে  হয়রানি এবং প্রতিদিন ভুমি  অফিসের বারান্দায় ধর্ণা দেওয়া।
এক্ষেত্রে উপজেলা বা  ইউনিয়ন  তহশীল অফিস ও পিছিয়ে নেই। ভুমি নামজারির নিয়মানুযায়ী অনুমোদনের জন্য  সংশ্লিষ্ট তহশীল অফিস কর্তৃক নিষ্কন্টক প্রতিবেদন দিতে হয়। সেক্ষেত্রে ওই তহশীল  অফিসে ও চলে অবৈধ লেনদেনের আন-অফিসিয়াল চুক্তি।
সেখান থেকে ওই প্রতিবেদন আবার ভুমি অফিসে আসলে  সার্ভেয়ার , কানুনগো সহ কিছু কমকর্তাদের প্রতি সাক্ষরের বাবদ   আবারো দিতে হয় ৫০০  থেকে ১০০০ টাকা, যা ভুক্তভোগিদের অভিযোগ।তারা আরো জানায়, এই অফিসে সেবা প্রত্যাশী ্্দ্্দে্্দ্্দ্্দ্্দ্্্দ্্দ্্দ্্্দ্্দে্্দ্্দ্্দ্্দ্্্দ্্দ্্দ দের জিম্মি করে ইচ্ছে মত অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এছাড়াও অফিসে আবেদন কারীদের  জমির দলিলে নানা সমস্যা ও ভুল ভ্রান্তি দেখিয়ে অর্থ আদায় করা হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। এনিয়ে সেবা প্রত্যাশীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
পৌরসভা সহ ৩টি ইউনিয়ন নিয়ে পরশুরাম  উপজেলা।এই সমগ্র উপজেলার লোক তাদের জমি খারিজ করতে হলে এই ভুমি অফিসে আসতে হয়।দালাল ও কিছু অসৎ কর্মচারীরা এই অফিসে অনিয়ম কে নিয়মে পরিণত করেছে। পূর্বে ও এই ভুমি অফিসে  চাকুরীরত কয়েকজন কর্মচারীসহ  পিয়ন পর্যন্ত সেবা প্রত্যাশী দের জিম্মি করে ঘুষ সহ বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছিলেন।তারা নায়েব সিন্ডিকেট সহ গড়ে তুলেছিলেন দালাল সিন্ডিকেট যার ধারাবাহিকতা এখনো চলছে  বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগীরা জানান, সব কাগজপত্র সঠিক করে খারিজের জন্য  আবেদন করে সিন্ডিকেটের চাহিদা মত টাকা দিয়ে ও নির্দিষ্ট সময় তো দূরের কথা ৬ মাস ধরে ভুমি অফিসের বারান্দায় ঘুরছি কাজ তো হচ্ছেই না বরং হয়রানির শিকার হচ্ছি।
এদিকে ভুমি নামজারির জন্য আবেদন করতে হলে কি কি কাগজপত্র ও কত টাকা ফিস  জমা দিতে হবে এই জাতীয় একটি সিটিজেন চার্টার জনসম্মুখে প্রদর্শন করা বাধ্যতামূলক হলেও  তা কোথায় প্রদর্শন করা বা টানানো হয়েছে  সেবা প্রত্যাশী রা তা জানেনা বলেও জানায়।
এব্যাপারে উপজেলা সহকারী ভুমি কমিশনার নাসরিন আক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান্, আমার কাছে  সেবা প্রত্যাশীদের আসতে কোন সমস্যা বা বাধ্যবাধকতা নেই। আমার কাছে এসে সরাসরি অভিযোগ দিলে আমি যথারীতি ব্যবস্থা নিব।
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।
ঘোষনাঃ