গোলাম কিবরিয়া পলাশঃ ইতিহাসের বর্বরোচিত হামলার শিকার সিরতা ইউনিয়নের যুবলীগ এর সিনিয়র সহ-সভাপতি বুলবুল আহমেদসহ আপন বড় ভাই মকরুজুল ইসলাম মকুল ও সিরতা ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোকছেদুল মোমিন সবুজ সহ তাঁর পরিবার। ঘটনাটি ঘটে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ৫নং সিরতা ইউনিয়নের সিরতা নয়াপাড়া এলাকায়। মসজিদ ও মাদরাসাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষে মারামারির ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, গত ০৫ মার্চ ২০২১ খ্রিঃ রোজঃ শুক্রবার সিরতা নয়াপাড়া বাজারের জামে মসজিদের ভিতর জুমার নামাজ শেষে দু’পক্ষই সংর্ঘষে লিপ্ত হয়। এতে হতাহতের ঘটনা তেমন ছিলোনা। কিন্তু জুমার নামাযের পর ২.৩০ মিনিটে যুবলীগ নেতা বুলবুল এর আপন ভাই মকরুজুল ইসলাম মকুল (৩৮) পিতাঃ মোঃ লোকমান হেকিমকে একই দিনে গরু বিক্রি করে বাড়ি আসার সময় নয়াপাড়া সালুর মোড়ের পাকা রাস্তার উপরে পথরোধ করে শাহজাহান ও মোখলেছ বাহিনী। মকুল পেসায় ডেইরি ফার্ম ব্যবসায়ী। মকুল বলেন, আমি যখন গরু বিক্রি করে টাকাসহ সালুর মোড় পাকা রাস্তার উপরে পৌঁছলাম। ঠিক এ সময় ১.শাহজাহান মিয়া ২. মোখলেছুর রহমান ৩. আব্দুস সালাম ওরফে সালু ৪. হারুন মিয়া ৫. আজাহারুল ইসলাম ৬. আজিজুল হক ৭. আঃ মজিদ ৮. আকবর আলী ৯. মোফাজ্জল হোসেন ১০. রফিকুল ইসলাম ১১. তৈয়ব আলী ১২. মোশাররফ হোসেন গংসহ আরও কয়েকজন মারত্মক অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বেআইনি ভাবে জনতাবদ্ধে আমার উপরে অতর্কিত হামলা শুরু করে। উনি আরও বলেন আমার গরু বিক্রির ৫০০০০০/- (পাঁচ লক্ষ টাকা) ও আমার মটর সাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। যার মূল্য ১২০০০০/- একলক্ষ বিশ হাজার টাকা। এবং আমার একটি এন্ড্রয়েড ফোন সেটটি জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে যার মূল্য ৭৯.০০০/- উনাশি হাজার টাকা।
এ ঘটনায় মকরুজুল ইসলাম মকুল বাদী হয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে যার মামলা নংঃ-২৯। মকুলকে মারাত্মক ভাবে আঘাত করে তার হাত ভেঙ্গে ফেলে। মাথাসহ শরীর বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এমনকি কোমড়ে আঘাত করার দরুন উঠে চলাফেরা করতে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এলাকার লোকজন এসে পড়ায় এইভাবেই রাস্তার উপরে ফেলে রেখে সংঘবদ্ধভাবে শাহজাহান ও মোখলেছ গং পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পরপরই গত ০৬ মার্চ শনিবার সকালে শাহজাহান ও মোকলেছ গং দল সংঘবদ্ধ হয়ে অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ছাত্রলীগ নেতা মোখছেদুল মোমিন সবুজ এর বাড়িতে হামলা করে। সবুজ এর মা” সাক্ষী দেয়ার কারণে সবুজ এর বাড়িতে হামলার ঘটা ঘটে। এ ঘটনায় সবুজের বাবা শাহজাহান কবির ও সবুজের ৩য় শ্রনি পড়ুয়া বাকপ্রতিবন্ধী বোন মারাত্মক ভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। সবুজের বাবা ও মা বলেন আমার বাড়িতে অতর্কিত হামলা করে লুটপাট করে আমার ঘরের আলমারিতে রাখা নগদ ৩০০০০০/- (তিন লক্ষ টাকা) ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় এখনো কোন মামলার বিষয় জানা যায়নি। এ বিষয়ে যুবলীগ নেতা বুলবুল আহমেদ ও ছাত্রলীগ নেতা মোখছেদুল মোমিন সবুজ এর কাছে জিজ্ঞাসা করলে জানা যায়, ৫ ও ৬ মার্চ দু দিন মারামারিতে প্রায় ৭ জন আহত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করে উনারা আরও বলেন সঠিক তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবীও জানান।