গোলাম কিবরিয়া পলাশ, ময়মনসিংহ। ময়মনসিংহ নগরীর জেলখানা ঘাটের উত্তর পাশে বেরীবাধ এর উপরে ময়দানে মোহাম্মদ জামে মসজিদের পূর্ব পাশে অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরকম সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমার ফেসবুক আইডি থেকে প্রকাশ পাওয়ার পর কোতোয়ালী থানার তদন্ত ওসি ফারুক হোসেন ঘটনা স্থলে এসে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। এ ঘঠনায় তদন্ত ওসি ফারুক হোসেন অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ শনাক্ত করতে সক্ষম হয় অতপর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পেরন করে। জানা গেছে, চরাঞ্চলে পরে থাকা যুবকের হত্যাকান্ডে তার “স্ত্রী” জান্নাতুল মিম আখিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহত যুবকের লাশ উদ্ধার করার পর পরিচয় মিলে। নিহত যুবক মুক্তাগাছার কাঠবউলা গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে দিদারুল ইসলাম রুবেল। এ ঘটনায় নিহতের পিতা মোখলেছুর রহমান কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা নং-১৫, তাং ৪ মার্চ ২০২১ খ্রিঃ দায়ের করে। নিহত রুবেলের পরিবার জানায়, জান্নাতুল মীম আখির সাথে প্রায় একযুগ আগে দিদারুল ইসলাম রুবেলের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে নয় বছরের একটি মেয়ে ও সাত বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। জান্নাতুল মীম উচ্ছৃংখল জীবন যাপন করায় সংসার জীবনে তাদের সুখ শান্তি ছিলনা বললেই চলে। এর পরও সুখ শান্তির আশায় রুবেল তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে শ্বশুর এলাকায় বসবাস করতেন। অশান্তির আগুনে জ্বলতে থাকা দিদারুল ইসলাম রুবেল গত এক মার্চ বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে। এর দুদিন পর বুধবার রাতে ময়মনসিংহ নগরীর চর জেলখানার বেরীবাধ এলাকায় তার রক্তাক্ত লাশ পায় পুলিশ। রুবেল প্রথমে প্রাণ কোম্পানীতে সেলসম্যান হিসাবে কাজ করলেও পারিবারিক কারণে গত কিছুদিন ধরে নিজেই গ্যাসের চুলার সরঞ্জাম এনে বিক্রি করছেন। নিহতের পরিবার এ হত্যাকান্ডে স্ত্রী জান্নাতুল মীম আখিকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। নিহতের পিতাসহ পরিবারের অভিযোগ আখির উচ্ছৃঙ্খলতায় বাধার কারণে অন্যান্যাদের সহায়তায় সে তার স্বামী দিদারুল ইসলাম রুবেলকে হত্যা করেছে। কোতোয়ালী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক হোসেন বলেন, নিহতের স্ত্রী জান্নাতুল মীম আখিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যার রহস্য উদ্ধাঘাটনসহ জড়িতদের তথ্য জানতে তাকে রিমান্ড চেয়ে শুক্রবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ময়মনসিংহের চরাঞ্চলে রুবেল হত্যাকান্ডে স্ত্রী আখি গ্রেফতার-রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ।

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।