পেয়েছে ধনীরা শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ নুরুল আলম টেকনাফ টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউপিস্থ কুতুবদিয়া পাড়া গ্রামের এক হতদরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া বিধবা হামিদা বেগমের সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে অনেকে সরকারী ঘর পেলেও জুটেনি ঘর।শত চেষ্টা করে একটু আশ্রয় আশায় ঘুরছে দিকবেদিক,তারপরও তালিকা ভুক্ত হয়নি সরকারী ঘরের। স্থানীয় মৃত সোলতান আহমদের মেয়ে হামিদা বেগম (৩৫) প্রায় দুঃখের গল্প আমার মা-বাবা ভাই বোন হারা বিধবা মহিলার কোনো ঘর না থাকায়,ছোট্ট একটি কুঁড়ে ঘরে কষ্টে দিন কাটাচ্ছি ,আামার নেই কোনো ছেলে,নেই কোনো আয়ের উৎস।১২ বছরের এক মেয়ে নিয়ে সে অতিকষ্টে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছি। এক সময় দীর্ঘ একযোগ ধরে চট্টগ্রামে ছোট একটা ঘর ভাড়া নিয়ে এক ফেক্টরীতে চাকরী করে জীবিকা নির্বাহ করেছিল।লেখাপড়ার যোগ্যতা না থাকায় অল্প বেতনে চাকরী করে জীবন চালত।অল্প বেতনে চাকরী করে চট্টগ্রাম শহরে ঘর ভাড়া এবং নিজের চলাচল অতিকষ্ট হয়ে পড়ায় ,নিরোপায় হয়ে সে দুই বছর আগে নিজ এলাকায় গ্রামের বাড়ীতে চলে আসি। এই বিধাব হামিদা ভিটে মাটি ঘর হারা মহিলা দীর্ঘ দিন ধরে সরকারের বিভিন্ন জন প্রতিনিধিদের দপ্তরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।পৃথিবীতে তার আয়ের উৎস বলতে কিছুই নেই ।সরকারী ভাবে কোনো সুযোগ সুবিধা না পেলে না খেয়ে মারা যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই এই পৃথিবীতে।সে এখন মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন একটুকরো জায়গা এবং ঘরের জন্যে। অসহায় বিধবা হামিদার জীবনের কষ্টের কথাগুলি শুনে বুক ভরা কান্নায় শরীর শিউরে উঠে। তিনি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে মোটামুটি অনেক দপ্তরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তবু একটু জায়গার ও ঘরের জন্যে।তার জীবনে শেষ আশা ছিল এক টুকরো জায়গা এবং একটি ঘর।একটি ঘরের জন্যে বিগত কয়েকমাস আগে টেকনাফের ১নং হোয়াইক্যং মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে ছবি ও বায়োডাাটা জমা দিয়ে ছিলেন,কিন্তু তা কোনো কাজে আসেনি। তবে হোয়াইক্যং ইউনিয়নে অনেক ধনী ব্যক্তিদের নামও কিন্তু মাননীয় প্রধানন্ত্রীর উপহারের ঘরগুলোর তালিকায় এসেছে।আরও অভিযোগ উঠেছে অনেক অনেক অসহায়ীর পরিবারের তালিকায় নাম ঠিকানা নবায়ন থেকে বন্ঞ্ছিত হচ্ছে।কিছু অসাধুর ব্যক্তির কারণে টেকনাফ হোয়াইক্যাং মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ আনোয়ারী বলেন,’ ভূমিহীনদের প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘরের প্রাথমিক একটা তালিকা হয়েছে,সেই তালিকায় যদি নাম না এসে থাকে তাহলে পুনরায় আবেদন করলে দেখেশুনে তালিকাভুক্ত করা হবে এবং তাকে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ রইল। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান,’বিধবা নারী ইউএনও অফিসে লিখিত আবেদন করলে তার বিষয় টা বিবেচনা করা হবে।প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের সুপারিশ অফিস নিবে।
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।