ছাতক প্রতিনিধিঃ ছাতকে ইউপি চেয়ারম্যানের সীল, স্বাক্ষর ও প্যাড জাল করে ভুয়া উত্তরাধিকার সনদ সৃজনের মাধ্যমে দলিল সম্পাদনের অভিযোগে ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য ছালিক মিয়া চৌধুরী বাদী হয়ে জাহিদপুর গ্রামের ছাদিকুর রহমান, ছানাওর আলী, সামির উদ্দিন, ফয়জুর রহমান, আলী আহমদ শিলু, আব্বাস আলী, আনুজানী গ্রামের মাহমুদুল হাসানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ আমল গ্রহনকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, প্রতিপক্ষরা প্রতারনার মাধ্যমে আর্থিক লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে দোলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের প্যাড, চেয়ারম্যান সীল ও সাক্ষর জাল করে ভুয়া উত্তরাধিকার সনদ সৃজমের মাধ্যমে রেজিষ্ট্রি দলিল সম্পাদক করেছে। গত বছরের ১৯ অক্টোবর ৫৩৮/২০২০ এবং ৬৪১/২০২০ নং দলিল সম্পাদনে এসব ভয়া উত্তরাধিকার সনদ ব্যবহার করা হয়। ঘটনাটি জেনে ইউপি সদস্য ছালিক মিয়া চৌধুরী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার আবুল খয়েরের মাধ্যমে বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান সায়েস্থা মিয়াকে অবহিত করেন। এক পর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদের প্যাডে এসব দলিলে যে উত্তরাধিকার সনদ ব্যবহার করা হয়েছে তার নথি প্রেরনের আবেদন করেন ছাতক সাব-রেজিষ্ট্রার বরাবরে। আবেদনের প্রেক্ষিতে দাতা ফয়জুর রহমান ও গ্রহীতা আব্বাস আলী সম্পাদিত ৫৩৮/২০২০ নং দলিলে এবং পাওয়ার অব অ্যাটর্নী প্রাপ্ত দাতা আব্বাস আলী ও গ্রহীতা ছানাওর আলী ৬৪১/২০২০ নং দলিলে জাল উত্তরাধিকার সনদ ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিপক্ষরা জাহিদপুর মৌজার ভুমি নামজারি ও জমা খারিজ মোকদ্দমা নং ২৫/২০২০-২১অর্থ বছরে জাহিদপুর জামেয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারের সাক্ষর ও ছবিসহ ভুয়া আবেদন করে ভুমি অফিসে। এ আবেদনেও ইউপি চেয়ারম্যানের সীল, সাক্ষর ও প্যাড জাল করে ভুয়া উত্তরাধিকার সনদ ব্যবহার করা হয়েছে। যা পরবর্তিতে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির এক সভায় রেজুলেশন আকারে এ ব্যাপারে আইনী ব্যবস্থা নেয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। উত্তরাধিকার সনদে মৃত আব্দুস ছাত্তারের একমাত্র উত্তরাধিকার হিসেবে ফয়জুর রহমানকে দেখানো হলেও প্রকৃত পক্ষে মৃত আব্দুস ছাত্তারের ওয়ারিশানগনের মধ্যে ৪ পুত্র ও ৩ কন্যা রয়েছেন। এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ আমল গ্রহনকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এড. ছায়াদুর রহমান ছায়াদ। বিষয়টি পিবিআই তদন্ত করবে বলে জানা গেছে।
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।