হাওরাঞ্চল প্রতিনিধি,সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জ দৈনিক সংবাদ ও দৈনিক শুভ প্রতিদিন পত্রিকার তাহিরপুর প্রতিনিধি ও
তাহিরপুর প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেনকে গাছের সাথে বেঁধে নির্মম ভাবে নির্যাতনের ঘটনায় আরো ১জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার নাম- রইছ উদ্দিন (৪০)। তিনি জেলার তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের
গাগটিয়া গ্রামের আনামত আলীর ছেলে। আজ বুধবার (৩রা ফেব্রয়ারী) ভোর অনুমান ৪টার সময় সীমান্তের যাদুকাটা নদীর আদর্শগ্রামে অবৈধভাবে তৈরি করা পাথর কোয়ারীর পাহারা দেওয়ার ঘর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- গতকাল মঙ্গলবার (২রা ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় নির্যাতিত সাংবাদিক কামাল হোসেন বাদী হয়ে জেলার তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের গাগটিয়া গ্রামের জুলহাস মিয়ার ছেলে মাহমুদ আলী
শাহ (৩৮), একই গ্রামের আনামত আলী শাহর ছেলে রইছ উদ্দিন (৪০), গোলাম হোসেনের ছেলে দীন ইসলাম (৩৫), ছাদেক আলীর ছেলে মুশাহিদ তালুকদার (৪৫), তাজুদ আলীর ছেলে ইপি মেম্মার মনির উদ্দিন (৫২) সহ মোট ১১জনের বিরুদ্ধে
থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এঘটনার প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার (২রা ফেব্রুয়ারী) ভোরে তাহিরপুর সার্কেলের
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অভিযান চালিয়ে মাহিবুল মিয়া (২৫), তাহের মিয়া (২২), আনহার মিয়া (৩৫) ও ফয়সাল মিয়া (২০) কে গ্রেপ্তার করেন। কিন্তু মূল গডফাদার হাবিব সারোয়ার আজাদ মিয়া ও তার চাচাতো ভাই
মাহমুদ আলী শাহকে এখনও পর্যন্ত আইনের আওতায় নেওয়া হয়নি।
গতকাল সোমবার (১লা ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০টায় সীমান্তের যাদুকাটা নদীর গাগটিয়া এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে বালি ও পাথর উত্তোলনের খবর পেয়ে ফটো তুলতে গেলে সাংবাদিক কামাল হোসেনের ক্যামেরা,মানিব্যাগ,মোবাইল ও মোটর
সাইকেল কেড়ে নিয়ে গাছের সাথে বেঁধে নির্মম ভাবে নির্যাতন করে অবৈধ পাথর কোয়ারীর ও বালি উত্তোলন সিন্ডিকেড়ের গডফাদার হাবিব সারোয়ার আজাদ মিয়া,তার চাচতো ভাই মাহমুদ আলী শাহ ও তাদের সিন্ডিকেডের সদস্য দিন
ইসলাম ও রইছ উদ্দিনসহ ৮-১০জন। পরে সেই নির্যাতনের ফটো ও ভিডিও মোবাইল ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ছড়িয়ে দিলে তা ভাইরাল হয়। তাই ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রকৃত অপরাধীদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য প্রশাসনের কাছে
জোরদাবী জানিয়ে গত মঙ্গলবার (২রা ফেব্রুয়ারী) দিনব্যাপী সুনামগঞ্জে পৃথক ৩টি মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরাসহ সর্বস্থরের জনসাধারণ। এছাড়াও জেলার জগন্নাথপুর ও তাহিরপুরে মানববন্ধন করেছে পিন্ট,অনলাইন ও টিভি মিডিয়ার
কর্মরত সাংবাদিকরা। এব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন,
সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় এপর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এঘটনার সাথে যারা জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।