জুয়েল শেখ: জয়পুরহাটের পাঁচবিবি এক গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষনের অভিযোগে পাঁচবিবি থানা পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার রাতে ধরঞ্জী ইউপি সদস্য সহ ২জনকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতার কৃত ধর্ষক উপজেলার ধরঞ্জী ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য ও মির্জাপুর গ্রামের শরিফ উদ্দিনের ছেলে শাহাবুল ইসলাম ৪২ এবং তার সহযোগী জয়পুরহাট সদর উপজেলার উত্তর বানিয়াপাড়া গ্রামের জবায়দুর রহমানের ছেলে দুদু মিয়া ৩২ এ ঘটনায় পাঁচবিবি থানা একটি ধর্ষনের মামলা হয়েছে মামলা সুত্রে জানা যায় নওগাঁ জেলার ধামুইরহাট উপজেলার আড়ানগর উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত ওয়াছেদ আলীর তালাক প্রাপ্তা মেয়ে তাহমিনা বেগম ৩৫ প্রায় ৮ বছর ধরে ঢাকার সাভারের বার্ডস গার্মেন্টসে চাকুরী করা কালীন পাঁচবিবি উপজেলার নন্দইল গ্রামের জাহিদ হোসেন ৩৫ সাথে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। উক্ত জাহিদ তাহমিনা বেগমকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে বিকাশ একাউন্ড ও নগদ প্রায় দেড় লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে মেয়েটি উক্ত ইউপি সদস্য শাহাবুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করেন সাহাবুল মেয়েটি কে জাহিদের নিকট থেকে টাকা উদ্ধার ও তার সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে পাঁচবিবিতে আসতে বলে। সে ২৫ শে জানুয়ারী সোমবার রাত ৯টায় পাঁচবিবি বাসস্ট্যান্ডে এলে ইউপি সদস্য রাতেই মেয়েটি কে তার বোনের বাড়ীতে রাখার কথা বলে উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে দুদু মিয়ার শ্বশুর বাড়ীতে রাখে। শাহাবুল ও দুদু মিয়া রাতে মেয়েটি কে ভয়ভীতি দেখিয়ে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরের দিন সকালে দুদু মিয়া মেয়েটি কে তার শ্বশুড় বাড়ী থেকে বের করে দেয় নিরুপায় হয়ে তাহমিনা পরের দিন ২৬ জানুয়ারী মঙ্গলবার পাঁচবিবি থানায় একটি অভিযোগ করলে। পাঁচবিবি থানা পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত পূর্বক ধর্ষনের সত্যতা পায় এবং ইউপি সদস্য শাহাবুল ইসলাম ও তার সহযোগী দুদু মিয়া কে গ্রেফতার করে আজ বুধবার জেল হাজতে প্রেরণ করেন। পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পলাশ চন্দ্র দেব জানান মেয়েটির অভিযোগ প্রাথমিক ভাবে প্রমানিত হওয়ায় এবং ইউপি সদস্য স্বীকারোক্তিতে পাঁচবিবি থানায় একটি মামলা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি এক গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষনের অভিযোগে ইউপি সদস্য সহ গ্রেফতার ২
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।