হাওরাঞ্চল প্রতিনিধি,সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জে পৌরসভা নির্বাচনে ব্যবহ্নত ইভিএম মেশিনের সমস্যার অভিযোগ
তুলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের এক মেয়র প্রার্থী। তার দাবী ৩টি ভোট কেন্দ্রে ব্যবহ্নত ইভিএম মেশিনে সমস্যা দেখা দেওয়ার কারণে ভোটাররা তাদের ভোট দিতে পারেনি। যার ফলে
নির্বাচন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ হয়নি। আর এসব অভিযোগ তুলেছেন- জেলার জগন্নাথপুর পৌরসভার আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী (বর্তমান মেয়র) মিজানুর রশীদ ভূঁইয়া। তবে প্রথম বারের মতো ইভিএম পদ্ধতিতে জগন্নাথপুর পৌরসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। আর এই ইভিএম মেশিন নিয়ে অভিযোগ দায়ের করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো জেলা জুড়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়- প্রবাসী অধ্যুসিত জগন্নাথপুর পৌর এলাকার ৬নং ওয়ার্ডের জগন্নাথপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১টি ও ৭নং ওয়ার্ডের ইকরছই ফাজিল মাদ্রাসার ২য় তলার দক্ষিণ পাশে ১টি ও একই ভবনের
পশ্চিম পাশের ১টিসহ মোট ৩টি ভোট কেন্দ্রে ব্যবহ্নত ইভিএম মেশিনে কারিগরি দ্রুটি দেখা দেয়। এছাড়া ইভিএম মেশিনে চার্জ না থাকার কারণে ভোট সঠিক ভাবে প্রয়োগ করা সম্ভব হয়নি। আর এই সমস্যার বিষয়ে ভোট চলাকালিন সময়ে
উপস্থিত ভোটার ও এজেন্টরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মেয়র প্রার্থী মিজানুর রশীদ ভূঁইয়াকে জানান। পরে মেয়র প্রার্থী মিজানুর ইভিএম মেশিনের সমস্যার বিষয়টি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অবগত করেন। কিন্তু টেকনিশিয়ান
পাঠিয়ে ইভিএম মেশিনের সমস্যা সমাধান করতে দেড়ি হওয়ার কারণে অনেক ভোটাররা তাদের ভোট না দিয়েই চলে গেছেন। যার ফলে ভোট সঠিক ভাবে প্রয়োগ হয়নি বলে তিনি দাবী করেন।
সেজন্য গতকাল ১৭ই জানুয়ারী রবিবার বিকেলে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আওয়ামী লীগ
মনোনিত প্রার্থী মিজানুর রশীদ ভূঁইয়া। আর এই অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্বদিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনের দৃষ্ঠি আকর্ষন করেন। এব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান
সাংবাদিকদের বলেন- মেয়র প্রার্থীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি,এব্যাপারে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য,গত ১৬ই জানুয়ারী অনুষ্ঠিত জগন্নাথপুর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আক্তারুজ্জামান আক্তার সতন্ত্রপ্রার্থী হয়ে ৮হাজার ৩শ ৭৮ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। আর আওয়ামী লীগ প্রার্থী মিজানুর রশীদ ভূঁইয়া ৮হাজার ১৮ভোট পেয়ে পরাজিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি বিএনপির প্রার্থী হারুন অর-রশিদ পেয়েছেন ৮হাজার ১৭ভোট।