নুরুল আলম টেকনাফ) ক্রাইম নিউজ ঢাকা ডটকম কক্সবাজারের টেকনাফ সরকারী হাসপাতালের ভুল চিকিৎসায় ও ডাক্তারের অবহেলায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গী খালী গ্রামের জাহেদ হোসেনের স্ত্রী জুহুরা বেগম (৫০)। এ ঘটনায় রোগীর স্বামী বাদী হয়ে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা যায় এই বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার ওসি হাফিজুর রহমান জুমাবারে জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এসআই সাজ্জাদ হোসেন সজীব এবং আমি রোগীর স্বজন এবং হাসপাতালের দায়িত্বরতদের সঙ্গে কথা বলেছি। রোগীর স্বজনদের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রোগীর ছেলে রবিউল আলম (২০)জানান,৬ জানুয়ারি বুধবার রাত ৯ টার দিকে আমার মাকে টেকনাফ সরকারি হাসপাতালে আমি ভাল এনেছি, ইনজেকশন না দিতে বলেছিলাম এমনকি পায়ে ধরেছিলাম তবুও ইনজেকশন দিয়েছে। আমি ডাক্তারকে বলেছিলাম ইনজেকশন দিলে বেহুশ হয়ে যায়, তাঁরা কথা শুনেননি। জোর করে ইনজেকশন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অজ্ঞান হয়ে যায় মা,আমি তখন কর্তবরত ডাক্তার জাকারিয়াকে ফোন করে বলি আমার মা কথা বলতেছে না তখন ডাক্তার জাকারিয়া আমাকে আসবে না বলে হুমকি দেন যা আমার মোবাইলে রেকর্ড আছে। ফোন কেটে দিয়ে দেখি আমার আর নেই পরে আমি ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশকে অবহিত করি।এরপর কোন কথা বলতে পারেনি।বুধবার রাত ১২ টায় মায়ের পাশে বসে কেঁদে কেঁদে কান্না করছিল ছেলে রবিউল আলম। স্বজনদের দাবি, টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভূল চিকিৎসা ও চিকিৎসকের অবহেলায় জুহুরা বেগম নামে এক নারী রোগী মারা যায়। তিনি নীলা ইউনিয়নের রঙ্গীখালী গ্রামের জাহেদ হোসেনের স্ত্রী। বারবার ফোন করার পরও আসেনি দায়িত্বরত চিকিৎসক। তাই মৃত্যুর পর সহতায় চেয়ে স্বজনরা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশের সহতায় চান। পরে এসআই সাজ্জাদ হোসেন সজীবসহ থানা পুলিশের একটি দল হাসপাতালে পৌছেন। তাদের ওই কথা তোলে ধরেন। হাসপাতালে দায়িত্বে ছিলেন চিকিৎসক জাকারিয়া মাহমুদ পরে সেই রোগীকে দেখবাল করে চিকিসক সাকিয়া হক। এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য ডা.জাকারিয়ার ০১৬৭১৪৯১৩১৪ মোবাইলে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও সেই ফোন রিসিভ করেননি। তবে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃটিটু চন্দ্র শীল দাবি করেন, এই মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। রোগী ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। চিকিৎসা যা দেওয়ার তারাই দিয়েছে। তবেএই রোগী আগে থেকেই হাই পেশার ছিল এবং ডাইবেটিস ছিল বেশি তার কারণে ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল এই কারণে মারা যায়নি ওনি চিকিৎসা চালাকালিন মারা গেছে রোগী। পুলিশ বলছে, স্বজনরা অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।