মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া: বাংলাদেশের হাওর সমৃদ্ধ জেলা হিসেবে পরিচিত সুনামগঞ্জ। তাই এজেলার শনির দশা যেন সহজেই কাটতে চায় না। সারাদেশ যখন উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে তখনও এই জেলার অনেক উপজেলা রয়েছে চরম অবহেলিত। সুনামগঞ্জ জেলা শহরের সাথে যোগাযোগে একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে সুনামগঞ্জ-বিশ^ম্ভরপুর সড়ক। কিন্তু জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের সুরমা নদীর আব্দুস জহুর সেতুর পশ্চিমপাড়ে অবস্থিত টোলঘর হতে বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার চালবন বাজারের তেমুখি পয়েন্ট পর্যন্ত
৬কিলোমিটার ও এই সড়কের শক্তিয়ারখলা এলাকার ১কিলোমিটার সড়কের খুবই বেহাল দশা। দীর্ঘদিন যাবত এই সড়কটি মেরামত না করার কারনে এসড়ক দিয়েযাতায়াতকারী লক্ষলক্ষ যাত্রীসাধারণসহ দেশ-বিদেশ থেকে আগত পর্যটকদেরকে প্রতিদিন পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দূর্ভোগ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়- সুনামগঞ্জ জেলা শহরের সাথে বিশ^ম্ভরপুর ও তাহিরপুর উপজেলাসহ পাশর্^বর্তী ধর্মপাশা-মধ্যনগর ও জামালগঞ্জ উপজেলার প্রায় ৮ লক্ষাধিক জনসাধারণসহ দেশ-বিদেশ থেকে আগত পর্যটকরা বিশ^ম্ভরপুর-সুনামগঞ্জ সড়ক দিয়ে তাহিরপুর পর্যন্ত যাতায়াত করে থাকে। তবে বিশ^ম্ভরপুর ও তাহিরপুর
উপজেলাবাসীর একমাত্র প্রধান সড়ক হচ্ছে সুনামগঞ্জ-বিশ^ম্ভরপুর সড়ক। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে বেশির ভাগ অংশই সম্প্রতি মেরামত করা হয়েছে গেছে। কিন্তু তাহিরপুর উপজেলার বালিজুরী ইউনিয়নের শেষ অংশে অবস্থিত বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নের শক্তিয়ারখলা এলাকার অংশের
অবস্থিত প্রায় ১কিলোমিটার ও চালবন হতে আব্দুস জহুর সেতুর টোলঘর পর্যন্ত
প্রায় ৬কিলোমিটার সড়কের খুবই বেহাল দশা। কারণ দীর্ঘদিন যাবত এই ৭ কিলোমিটার রাস্তার মেরামত না করার কারণে মালামাল পরিবহণকারী বিভিন্ন প্রকার ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে সড়কে সৃষ্টি হয়েছে বড়বড় গর্ত। আর এই ঝুকিপূর্ন সড়ক দিয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুকি নিয়ে সুনামগঞ্জ জেলা শহরসহ বিশ^ম্ভরপুর ও তাহিরপুর উপজেলার ব্যবসায়ীরাসহ বিভিন্ন অফিস-আদালতের কর্মকর্তা-
কর্মচারী ও পর্যটকরা মোটর সাইকেল, প্রাইভেট কার,সিএনজি,লেগুনা,বাস ও ট্রাক নিয়ে চলাচল করছে। বর্তমানে এই ৭কিলোমিটার ঝুকিপূণ সড়ক জনসাধারণের মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে। কারণ এই সড়ক পথে বিভিন্ন প্রকার যানবাহন দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে ঝাঁকুনির কারণে সুস্থ্য মানুষ ও অসুস্থ্য হয়েপড়ছে। আর প্রায় সময়ই ঘটছে দূর্ঘটনা। কিন্তু জনসাধারণের এই কষ্ঠ ও দূর্ভোগ দেখার মতো কেউ নেই।
এব্যাপারে সুনামগঞ্জের সিএনজি চালক সুজন মিয়া,হামিদুর রহমান,সেলিম মিয়া,আলী হোসেনসহ আরো অনেকেই বলেন- জেলা শহর থেকে যাত্রী নিয়ে বিশ^ম্ভরপুর ও তাহিরপুর যেতে সুরমা সেতুর টোলঘর হতে রাধানগর হয়ে চালবন পর্যন্ত খুবই কষ্ঠ হয়। কারণ রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ হয়েছে যে,গাড়ী নিয়ে
চলাচল করা দূরের কথা পায়ে হেটে চলাই দায় হয়ে পড়েছে। তারপরও জীবনের ঝুকি
নিয়ে জীবন বাচাঁনোর তাগিদে যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছি। দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নের শক্তিয়ারখলা,সিরাজপুর-বাঘগাঁও গ্রামের কামাল হোসেন,হুমায়ুন মিয়া,রফিকুল ইসলাম, জসিম মিয়া,রুবেল মিয়াসহ আরো অনেকে বলেন- এবারের বন্যায় শক্তিয়ারখলা এলাকায় অবস্থিত বিশ^ম্ভরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের প্রায় ১কিলোমিটার রাস্তার এক পাশ ভেঙ্গে গেছে। এর ফলে রাস্তার প্রস্থ্য ছোট হয়ে গেছে। যার ফলে দুটি সিএনজি এক সাথে আস-যাওয়া করতে বিরাট সমস্যা হয়। প্রায় সময়ই ঘটেছে দূর্ঘটনা। তাই শীগ্রই জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি মেরামত করা প্রয়োজন। এব্যাপারে সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন- সুনামগঞ্জ-বিশ^ম্ভরপুর সড়কের ভাংগা অংশ
মেরামত করার জন্য টেন্ডার হয়েগেছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির সংস্কার কাজ শীগ্রই শুরু হবে।
সুনামগঞ্জ-বিশ^ম্ভরপুর সড়কের শনির দশা কাটছেনা,যাত্রীদের সীমাহীন দূর্ভোগ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।