মোঃমাজহারুল ইসলাম মলি: চলে গেলেন জননন্দিত জননেতা, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন। তার মৃতুৎতে গলাচিপা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফ আহমেদ আসিফ গভীর শোক প্রকাশ করেন।তিনি এক শোক বার্তায় বলেন, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের লড়াকু রাজনীতিক জাহাঙ্গীর হোসাইনের জীবন কেটেছে রাজপথের সংগ্রামে। তৃণমূল থেকে রাজনীতি করতে করতে জাতীয় রাজনীতির অন্যতম স্তম্ভে পরিণত হওয়া আখম জাহাঙ্গীর হোসাইন চিরকালই ছিলেন তৃণমূলের গণমানুষকেন্দ্রিক নেতা। তৃণমূল থেকে লড়াই-সংগ্রামে গড়ে ওঠা রাজনীতিবিদের সংখ্যা এখন দেশের রাজনীতিতে হাতেগোনা। রাজনীতিতে এখন ব্যবসায়ী, আমলা, পূঁজিপতিদের জয়জয়কার। কিন্তু আ খম জাহাঙ্গীর হোসাইন ছিলেন আপাদমস্তক রাজনীতিক। তাঁর মৃত্যুর মধ্যদিয়ে আরও একজন জাত রাজনীতিকের মহাবিয়োগ হলো, যা, এদেশের সুস্থধারা, ভোগহীন রাজনীতির জন্য অপূরনীয় ক্ষতি। জাহাঙ্গীর হোসাইন ১৯৫৪ সালের ১৮ জানুয়ারি পটুয়াখালী জেলার গলাচিপায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি সম্পন্ন করা এই রাজনীতিক ছাত্র জীবন থেকেই ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তিনি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন চলাকালে ১৯৮১-৮৩ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এরপর তিনি আওয়ামী লীগের সহ দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ এবং সর্ব শেষ ২০১৪ সালে পটুয়াখালী-৩ থেকে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তিনি তিনবারই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের বস্ত্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে তিনি ছিলেন রাজনীতির একটি পাঠশালা। বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ একজন বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ হারালো।তার এ শূন্যতা পূরন হবার নয়।আল্লাহ পাক রাব্বুল আল আমিন তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নছিব করুন।
বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ আখম জাহাঙ্গীর হোসাইন এর মৃতুৎতে গলাচিপা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতির শোক প্রকাশ।
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।